বাংলাদেশের এখন যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে দুই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে আলোচনা চলছে দেশের অন্দরে। একজন রাষ্ট্রপতি এবং অন্যজন সেনাপ্রধান। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এবং সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের জন্য কি হতে চলেছে বাংলাদেশে, প্রশ্ন উঠে আসছে বিভিন্ন মহলে। গত তিনদিন ধরে এই গুঞ্জনটি আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠেছে। ঠিক যখন আওয়ামী লীগের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হল।
শোনা যাচ্ছে, তিন দিন আগে সেনাপ্রধান বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। অনেকে বলছেন, সামরিক কু ঘটনার জন্য বঙ্গভবনে সেনা সমাবেশের চেষ্টা করছিলেন তিনি। আসলে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে, যে সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার আমলের নিয়োগকর্তা। তিনি কিছুটা হাসিনাপন্থী বলেও কথিত রয়েছে দেশের অন্দরে। তাই আওয়ামী লীগের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হতে তিনি যে কোনও ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। ওই কারণেই তাকে সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। এই ধারণা যত দিন যাচ্ছে আরও বেশি করে প্রকট হয়ে উঠছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। আর সেই কারণেই সামরিক কু ঘটনার জন্যই তিনি পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কিছু জুনিয়র কর্মকর্তার জন্য তিনি সেই পদক্ষেপ থেকে সরে আসেন। আবার কেউ বলছেন, তাকে বরখাস্ত করার যাবতীয় কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছিল। সেইভাবে সরকারের প্রস্তুতি ছিল। প্রস্তুতির অংশ হিসাবে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি নাকি রাষ্ট্রপতির দফতরে গিয়েছে। যেটা সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার জন্য, এবং তাতে যেন রাষ্ট্রপতি সই করে। আর বিষয়টি যখন সেনাপ্রধান জানতে পারলেন, তখন বিমান বাহিনীর প্রধান এবং নৌ বাহিনীর প্রধান সহ আরো কিছু সামরিক কর্মকর্তা বঙ্গভবনে যান। একসময় সেনাপ্রধান নিজেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। শোনা যায়, সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা রাষ্ট্রপতিকে আবেদন করেন। এবং তারা সফল হয়েছে।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সরানোর জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা বঙ্গভবন ঘেরাও করেন। যদিও বিএনপির প্রবল আপত্তিতে সেই ঘটনার মোড় ঘোরে। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি এবং সেনাপ্রধান কে নিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে রাজনৈতিক আঙিনায়, সেটা এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে। তবে সেনাপ্রধান গোটা দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন সেটা বারবার তার বক্তব্যে উঠে এসেছে। কখনও তিনি বলেছেন, নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না। এতে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে।
এমনকি তিনি জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের নির্বাচন করা প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার আসা প্রয়োজন বাংলাদেশে। ইনক্লুসিভ নির্বাচন প্রয়োজন। আবার তার গলায় শোনা গিয়েছিল, দেশকে রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী। কাজেই সমস্ত কাজ শেষ করে ব্যারাকে ফিরে যাবে সেনাবাহিনী। এ বিষয়ে কি বলেছিলেন সেনাপ্রধান, শুনুনরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান একটি আস্থাভাজন জায়গায় রয়েছে। প্রত্যেকটি মানুষের ভরসার জায়গা সেনাবাহিনী। কোনও রকম বদল ঘটে, তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি একেবারে বদলে যাবে।
Discussion about this post