সেনাপ্রধান কে নিয়ে কি হচ্ছে বাংলাদেশে? কেন বারবার সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান এর প্রসঙ্গ উঠে আসছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে? পাশাপাশি নানারকম চর্চা শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীকে কেন্দ্র করে। একাংশ যেমন দাবি করছে সেদেশে সেনাবাহিনীতে ক্যু হতে পারে! বঙ্গভবনের সামনে কেন অতিরিক্ত পরিমাণে সেনা মোতায়ন করা হয়েছে? আবার কেউ কেউ বলছে সেনাপ্রধান আওয়ামী লীগের হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে, তিনি দেশে থেকে দেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ছক কষছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ সেনাপ্রধান কে ঘিরে এই ধরনের বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা শুরু হলো বাংলাদেশের অন্দরে, তবে কি এই সমস্ত দাবিগুলি সত্য? তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা!
দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত সেনা মোতায়ন করা হয়েছে। কারণ গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে লংমার্চ হতে পারে তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে সে কারণে সেনা বাহিনীর এই তৎপরতা।
আবার উদ্দেশ্য একাংশ মনে করছেন বর্তমানে সেনাপ্রধানের প্রধান উপদেষ্টার সম্পর্ক একেবারেই স্বাভাবিক নয়। সেই সম্পর্কে সমীকরণ থেকেই সেনাপ্রধান চাইছে না আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আর সেখানেই মোহাম্মদ ইউনুস তার বিপরীতে অবস্থান করতে, সেনাপ্রধান কে তার পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনীর মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। কিন্তু এই আলোচনাগুলো যখন উঠছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন হচ্ছে এই আলোচনা গুলির কি সত্যিই কোন ভিত্তি আছে?
বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ব্যাপক সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছিল। তিনি সামরিক বাহিনীর একটি বড় অংশের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা নিজের হাতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এমন গুঞ্জনও ছড়ায়। কিন্তু সম্প্রতি সেনানিবাসে হঠাৎ করে নিরাপত্তা জোরদার হয়, সেনাবাহিনীর মিডিয়া সেল বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কিছু ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এরপরই নিশ্চিত হয় ওয়াকার উজ জামানকে তারপর থেকে সরানোর পরিকল্পনা প্রকট হচ্ছে।
আর সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতেই নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে কয়েকটি নাম উঠে এসেছিল, যেমন মেজর জেনারেল কামরুল হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালেহ চৌধুরী এবং বর্তমান ইন্টেলিজেন্স প্রধান ব্রিগেডিয়ার নাহিদ আফসার এর নাম। বিশ্লেষকরা মনে করছিলেন, সেনাপ্রধান দরকার কে সরিয়ে সেনাপ্রধান হবেন তিনি হবেন ইউনূস সরকারের ‘বিকল্প পরিকল্পনার অংশ’।
বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এখন মনে করছেন “ডঃ ইউনূস ধীরে ধীরে সমস্ত রাষ্ট্র এর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন। মিডিয়া, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং এখন সেনাবাহিনী সবকিছুতেই তার সরাসরি প্রভাব প্রতিফলিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মহল যদিও বাংলাদেশের সেনাপ্রধান কে ঘিরে এই আলোচনার বিষয় একটি শব্দও খরচ করেনি, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাতিসংঘ কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত রয়েছে।
তবে, স্বাভাবিকভাবে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হলে কিংবা সেনাপ্রধানের পদে কোনো পরিবর্তন হলে তা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের শিরোনামে উঠে আসবে। কিন্তু যখন সে দেশে সেনাবাহিনীতে ক্যু করার জল্পনা ছড়াচ্ছে, তখন তৎপর থাকতেও দেখা গিয়েছে সে দেশের তিন সেনাবাহিনীকে।
Discussion about this post