শেখ হাসিনা সরকারের পতন হতেই বাংলাদেশ থেকে একের পর এক এসেছে হুমকি, হুশিয়ারি। ভারত তার পরিবর্তে ভালো ব্যবহারই ফেরত দিয়েছে। কিন্তু বন্ধুত্বের বার্তা পাঠালেও শত্রু দেশের মতো আচরণ করছে ইউনূসের দেশ। পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে। এইবার ভারত কড়া পদক্ষেপ করল। বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। মাত্র দুটি বন্দর খোলা রেখেছে ভারত। আর এতেই প্রায় নাজেহাল দশা তৈরি হয়েছে মোহম্মদ ইউনূসের দেশের।
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভরে গিয়েছিল, বাংলাদেশের বহু মানুষ ভারতকে বয়কটের ডাক দিচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশকেই যে প্রায় ভারত বয়কট করতে বসবে, সেটা তারা বোঝেনি। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বারেবারে হুমকি যে ভারত ভালোভাবে নিচ্ছে না। এইবার তারা সেটা টের পাচ্ছেন। মাথায় হাত পড়েছে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের। এইবার শুনুন এই বিষয়ে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ শেখ ফারিদ এবং আমজনতা এম মাসুদ আলমের কথবাকথন।
ফলে বোঝায় যাচ্ছে, কি পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এইবার তারা আরো আশঙ্কা করছে, বড়সড়ো কোন পদক্ষেপ করতে পারে ভারত। তবে আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ করে খানিকটা হয়তো ভারতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশে যে রপ্তানি করে তার ৯০ শতাংশ খাদ্যদ্রব্য। এছাড়াও বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্পের জন্য কাঁচামাল সুতো আসে ভারত থেকে। ফলে যতটা না ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার থেকে আকাশ ছোঁয়া ক্ষতির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিরিশ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিককে এই দেশ ছাড়তে হবে। এখন পদে পদে যেভাবে ভারতের কাছে ইউনূসের বাংলাদেশ পর্যুদস্ত হচ্ছে, তাতে কি করবেন এবার মহম্মদ ইউনূস, সেটাই দেখার।
Discussion about this post