সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে পাকিস্তান – বাংলাদেশ মুভ টুওয়ার্ডস মিউচিয়াল ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট বা পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে। যা সম্প্রতি সৌদি আরবের সাথে সাক্ষর করেছে পাকিস্তান। এর অর্থ, সৌদি আরব বা পাকিস্তানের ওপর হামলা হলে এই দুই দেশই তাদের নিজেদের ওপর হামলা হয়েছে বলে মনে করবে। আরও সহজভাবে বললে, যে কোনও একজনের ওপর হামলা হওয়া মানে অন্যজনের ওপর আক্রমণ। ১৯৭১ সালে ঠিক এই একই ধরণের চুক্তি হয়েছিল ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মাঝে। মনে করা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জোট তৈরী করছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়ে ডিফেন্স পার্ট নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ছাত্র নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের জনগণের মাঝে একটা উগ্র আবেগ কাজ করছে। তাদের একটাই লক্ষ্য ভারত বিরোধিতা, ভারতকে আক্রমণ করা, সেভেন সিস্টার্সকে ভেঙে ফেলা, উত্তর – পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলিকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে, ভারতের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। সাথে বাংলাদেশে তরুণরা রাস্তায় স্লোওগান দিচ্ছে, বাবরের রাস্তায় চলতে হবে, সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করতে হবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধ দেখলেও তারপর থেকে এই দেশটি আর কখনও যুদ্ধের সম্মুখীন হয়নি। এরা জানেই না একটা যুদ্ধে কি হতে পারে। নিজের চেয়ে বহুগুন শক্তিশালী একটি দেশের সাথে লাগলে তার পাল্টা জবাবে বাংলাদেশের কি হতে পারে, কি ধ্বংসলীলায় ডুবে যাবে বাংলাদেশ সেটা তাদের ধারণারও বাইরে। তারা তাদের পরিণতির কথা না ভেবে তারা চোখে কালো পর্দা দিয়ে একটা অন্ধ আবেগে ভর করে ভারতের ক্ষতি করতে চাইছে। সূত্রের খবর, এই আবহে বাংলাদেশ সরকার যাচাই করছে যে পাকিস্তানের সাথে তারা মিউচুয়াল ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট সই করতে পারে কিনা। কিন্তু হটাৎ কেন ডিফেন্স এগ্রিমেন্টের কথা উঠছে
সম্প্রতি সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে ডিফেন্স প্যাক্ট রয়েছে তারপর থেকে কাতার ও বাংলাদেশ সহ আরও বেশ কিছু ইসলামিক দেশ পাকিস্তানের সাথে এমন চুক্তি করার কথা ভাবছে। কারণতা খুব সহজ, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পারমাণবিক অস্ত্র অত্যন্ত জরুরি। যেমন, ন্যাটোর বহু দেশে নিজেস্ব পারমাণবিক বোমানা থাকার পরেও তারা আমেরিকার পারমাণবিক বোমা নিজেদের দেশে রাখে। অর্থাৎ বোমা আমেরিকার হলেও তা রাখা হচ্ছে অন্য দেশে। এটিকেই বলা হয়, নিউক্লিয়ার শেয়ারিং। এতে পারমাণবিক বোমার সহায়তা পাওয়া দেশটি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। ফলে কোনও দেশ তাদের ওপর আক্রমণ করার সময় ভাববে যে তাদের কাছেও পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন আছে। ইউরোপ থেকে এই কনসেপ্ট আসতে আসতে এশিয়ায় আসছে। ঠিক এভাবেই পাকিস্তানের ওপর কোনও দেশ হামলা করলে সৌদি আরব কিছুই করবে না। তারা নিউক্লিয়ার শেয়ারিং কেনার বদলে সৌদি আরব পাকিস্তানকে মোটা অঙ্কের টাকা দেবে। আসিফ মুনির বা অন্য যে ক্ষমতায় থাকবে তাকে পুরস্কার দিতে থাকবেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভারতের নর্থ – ইস্টে হামলা করার কথা ভাবছে। সাথে পাকিস্তান কাশ্মীরে কারগিলের মতো কিছু করার চেষ্টা করবে। অর্থাৎ, তাদের ধারণা দুই দিক থেকে ভারতের ওপর আক্রমণ করা হলে তারা জিতে যাবে। তারা এমন একটি শক্তিধর দেশ ভারতের বিরুদ্ধে বিরোধিতার খেলায় মেতেছে যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের থেকে কোটি গুনে শক্তিশালী। ফলে তাদের আশা যে নিরাশা হবে তা একটা ছোট বাচ্চার কাছেও স্পষ্ট। বাংলাদেশ – পাকিস্তানের এই নিউক্লিয়ার শেয়ারিংয়ের ফলে ভারতকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্যই সুখকর হবে না।












Discussion about this post