বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। মোহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়ে আসার পরও বিগত দশ মাসে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। শুধু তাই নয়, দেশে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ এই সরকার। সেটা বলেন বাংলাদেশেরই মানুষ। বরং সরকার এমন কিছু কর্মকাণ্ড করছেন, যেগুলি দেশের জন্য আগামী দিনে নিশ্চিতভাবে অমঙ্গল ডেকে আনবে। কখনও করিডোর ইস্যুকে কেন্দ্র করে,কখনও মার্কিন ডিপ স্টেটকেকেন্দ্র করে, আবার কখনও বন্দর ইস্যুকে কেন্দ্র করে মানুষকে অনাস্থা অবস্থায় ফেলছে। আর এই পরিস্থিতিতে এখন মানুষের ভরসার জায়গা ক্যান্টনমেন্ট। সেনাবাহিনী একমাত্র আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে সাধারণ জনগণের জন্য। এর মধ্যে একটি খবর এসেছে। সেটি হল, প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বৈঠকে আলোচনা করেছেন যে করিডোর ইস্যুতে রাজি নন সেনাপ্রধান ওয়াকার। ফলে তাকে রাজি করাতে হলে, মার্কিন সহায়তা প্রয়োজন। অর্থাৎ দু দিন আগের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন সহায়তার জন্য মার্কিন চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে সেনাপ্রধানের কাছে পাঠিয়ে ছিলেন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। তবে এটা শুনে সেনাপ্রধান রাজি হয়েছেন কিনা, সেই নিয়ে কোনও খবর নেই।
অন্যদিকে আরেকটি খবর রয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে, সেনানিবাসে একটি দরবার হবে। অর্থাৎ সেনাপ্রধান বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সেনাকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে কি কি আলোচিত হতে পারে, বাংলাদেশের সেই নিয়ে নানা বিষয়ে জল্পনা ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের অন্দরে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, সেনাবাহিনীর দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেনাপ্রধানী এখন আস্তা ভরসার জায়গা জনগণের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের কোনও মানুষের চান না সেনা শাসন জারি হোক। কারণ সেনা শাসন জারি হলে, মৌলিক কিছু অধিকার বা রাজনৈতিক কিছু অধিকার খর্ব হতে পারে। কিন্তু অস্থির পরিস্থিতির মাঝে একমাত্র সেনাবাহিনীকেই অবলম্বন করতে চাইছেন তারা। কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের দিকে প্রত্যাশা করেও কোনরকম উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এখানেই তারা মনে করছেন, উন্নতি সাধন না হওয়া মানে, মেনে নিতে হবে দেশ একটি গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যে ডুব দিয়েছে। তবে কি ফের নতুন কোনও বাংলাদেশ দেখতে চলেছে বাংলাদেশের মানুষ? তবে এই পরিস্থিতি থেকে বের করতে একমাত্র পারে সশস্ত্র বাহিনী। তবে শেষমেষ কি সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Discussion about this post