গত সপ্তাহেই বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে চলে গেল ভারতের কারণে। ভারতই প্ল্যান বানচাল করে দেয়। ভারতের বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এই প্রথম নয়। বহুদিন ধরে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের কট্টরপন্থীদের কাছে মাথা নোয়াননি ওয়াকার উজ জামান। উল্টে তিনি বারেবারে মৌলবাদীদের বার্তা দিয়েছেন। বলা ভালো সতর্ক করেছেন। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, সেনাবাহিনীকে যেন আইনি পদ্ধতি মেনে সেদেশের পরিস্থিতির উপর হস্তক্ষেপ করাতে বাধ্য না হয়। এমনকি খবর রয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সমঝোতার ক্ষেত্রে সই করতে চাননি। এরপরই পাকিস্তানের গুপ্ত জঙ্গি সংগঠন কলকাঠি নাড়তে শুরু করে। সেনাবাহিনীর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করে। এদের আসল উদ্দেশ্য, সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানকে সরানো। কিন্তু সেগুরে বালি। চক্রান্তকারীদের সমস্ত চাল ধরে ফেলেন ওয়াকার। শুধু তাই নয়, সেনাপ্রধানের কাছে খবর যায় যে লেফট্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমানকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। তবে পশ্চিমি দুনিয়া এবং ভারতের থেকে খবর পেতেই নড়েচড়ে বসেন বাংলাদেশের সেনাদের সর্বোচ্চ কর্তা। শোনা যায়, তিনি মধ্য আফ্রিকা যান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করার জন্য। কিন্তু সমস্ত প্ল্যান জেনে যায় পাকিস্তানি সেনা এবং জঙ্গিরা। তাই তারা ঠিক করে, সেনাপ্রধান দেশে ফিরলেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে উস্কে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা হবে। কারণ বাংলাদেশকে আয়ত্তে আনতে শুধুমাত্র সরকারকে নয়, সেনাবাহিনীকে তাদের প্রয়োজন। তারা খুব ভালো করে জানে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শক্তি ও মানুষের ভরসার অধিকারী সেনা। কিন্তু এতেও বাধ সাধে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। সমস্ত পরিকল্পনার কথা ওয়াকার উজ জামানের কানে যেতেই ফেরার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তড়িঘড়ি তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করে সেনানিবাসে প্রবেশ করেন। পরের দিনই সেনানিবাসে বেশ কিছু সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গোপন সূত্রে খবর, সেনাকর্তাদের একাংশকে হুশিয়ারি দিয়েছেন সেনাপ্রধান। এমনকি কিছু সেনাকর্তাকে নজরবন্দি করেছেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাদের গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে খবর। অর্থাৎ ভারতের গোয়েন্দাদের বুদ্ধিমত্তার জেরেই বিপদ এড়িয়েছেন ওয়াকার। সূত্র মারফত খবর। তবে পুরোপুরি বিপদ কাটেনি। এখনও গভীরভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। এখন দেখার, এই সমস্ত কিছু কাটিয়ে উঠে, দেশকে সুরক্ষিত জায়গায় রেখে, সেনাবাহিনীকে নিজের আয়ত্তে রেখে, কি পদক্ষেপ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।
Discussion about this post