বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত। এই পরিস্থিতির মধ্যে দেশের জনগণ সবথেকে বেশি সেনাবাহিনীর উপর নির্ভরশীল। তাই গত বছর ৫ ই অগাস্টের পর দেশের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হলে, মাঠে নামে সেনাবাহিনী। যেটা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মতিতেই। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দু মাসের জন্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ এখনও সেনাবাহিনীকে মাঠে থাকতে হবে। এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। কিন্তু খবর রয়েছে, সেনাবাহিনীদের মধ্যেই এই নিয়ে দ্বিমত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কতদিন আর ব্যারাকে থাকবে সেনাবাহিনী, এই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অত্যন্ত আস্থাভাজন সাধারণ মানুষের কাছে। সেনাবাহিনীর ওপরে নির্ভরশীল সাধারণ জনগণ। কিন্তু বিগত দিনে সেই সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণের ছবি লক্ষ্য করা গিয়েছে দেশের অন্দরে। গোপালগঞ্জে সেনার গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে উন্মুক্ত জনতা।
প্রথম দিকে দেখা গিয়েছিল, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে নিরস্বর্থভাবে সমর্থন করে এসেছে মোহাম্মদ ইউনুস। এবং কেউ কেউ মনে করে, ৫ই অগাষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, তাতে সেনাবাহিনী সমর্থন না করলে, কোনওভাবেই ছাত্রনেতারা এই অভ্যুত্থান ঘটাতে পারত না। এখন বর্তমান সরকার অর্থাৎ ইউনূসের সরকার সেনাপ্রধানকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে। আসলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতি ঘটেছিল, যেখানে প্রায় ৯ মাস সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে, মাঠে রয়েছে। এখন তারা ব্যারাকে ফিরে যেতে চায় বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের ২ মাস ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার বাড়ল বলে খবর। এদিকে খবর, এতদিন সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে সেনা কর্তাদের মধ্যেই। এই কারণে সেনাপ্রধান বলেছিলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকার জন্য শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর উপরই নির্ভর করলে চলবে না। প্রত্যেকটি মানুষকে একইভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। শোনা যাচ্ছে, তারা বেশি দিন মাঠে থাকতে চায় না। তারা ব্যারাকে ফিরে যেতে চায়। তবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার কাকে গুরুত্ব দেবেন? মোহাম্মদ ইউসকে নাকি সেনাবাহিনী? যদিও অতীতে দেখা গিয়েছে, সেনাবাহিনীকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে জেনারেল ওয়াকার। এবং আত্মীয়তাকে উপেক্ষা করেছিলেন। তবে এখন তিনি কি করেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
Discussion about this post