সময়সীমা ৩০ দিন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরো কঠোর ভারত! অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে, দেশের গৃহ মন্ত্রক সরাসরি ভারতের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে একটি কড়া নির্দেশ দিয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩০ দিন সময় সীমার মধ্যে, প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা এবং এলাকাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বার করার নির্দেশ ভারত সরকারের। আরে নির্দেশিকা মূলত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের জন্যই জারি করা হয়েছে।
অর্থাৎ ভারত সরকারের গৃহমন্ত্রকের নির্দেশে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলি শুধুমাত্র অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বার করাই নয়, সেই সমস্ত অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
বেশ কিছু মাস যাবত ভারত জুড়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি অভিযান। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, দিল্লি , মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, , গুজরাট ,হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর থেকে কর্ণাটক, কেরালা, অন্ধপ্রদেশে পুলিশী অভিযানে শত শত মানুষকে আটক করা হয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিক সন্দেহে।
ধীরে ধীরে যখন বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করলো তল্লাশি অভিযানের মাধ্যমে তখন এই পরিস্থিতিতে এবার অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এবার ভয়ঙ্কর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। গৃহ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলো ৩০ দিনের এই ডেডলাইন। মূলত অনুপ্রশকারীদের নথিপত্র যাচাই ও বাছাইয়ের জন্য এই ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মূলত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের এই কঠোর নির্দেশিকা।
কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের তরফে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, ভারতীয় পরিচয় দেশে প্রবেশ করলে তাদের আটক করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাদের পরিচয়, নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ওই সময়সীমার মধ্যে যদি তারা ভারতীয় নাগরিক প্রমাণিত না হয় তবে ৩০ দিন পর থেকেই তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট আইনে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে নয়া দিল্লি।
উল্লেখ্য এই নির্দেশিকার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গৃহ মন্ত্রণালয়ের তরফে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে,যেসকল বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএফ ও কোস্ট গার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে- তাদের বিস্তারিত তালিকা প্রতিমাসে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পেশ করতে হবে। যাতে ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর কোনোদিন ভারতে এসে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড কিংবা পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারে। অর্থাৎ যে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক সহায়তা পাঠানোর নামে করিডোর দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার সেই মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ দুই দেশকেই এক অস্ত্রে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে ভারত সরকার।
Discussion about this post