আবার আশঙ্কা “চিকেনস নেক” এ। চিকেনস নেকের মধ্যে রয়েছে রহস্যময়ী গ্রাম । সেখানেই কি ঘাঁটি তৈরি করছে চীনা জঙ্গিরা।চীনের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মাঝে, গত আট বছরে ভুটানের ভূখণ্ডের মধ্যে ২২টি চীনা গ্রাম নির্মাণের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল ছিল। এটি একটি কৌশলগত এলাকা যেখানে ভারত এবং চীন ২০১৭ সালে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অচলাবস্থায় আবদ্ধ ছিল। সেই রহস্যময়ী গ্রাম গুলিকে দখল করার উদ্দেশ্যেই কি সক্রিয়তা বাড়ছে জঙ্গিদের?
ইউনুস সরকারের সমাজ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি আর ডুমুরের ফুল যেন একই বিষয়। কারণ, স্বরাচারী শাসকের তকমা পেয়ে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপর সমাজে যে সকল সংস্কার অধরা ছিল তখন তদারকি সরকার গঠন করে সেই সংস্কারের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মোহাম্মদ ইউনুসের ওপর।
কিন্তু কিছুদিন গড়াতে না গড়াতেই ইউনুস সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ পেতে শুরু করল বাংলাদেশ জুড়ে। মূলত, মৌলবাদী কট্টরপন্থীদের আঙ্গুলিহিলনেই চলছে ইউনুস সরকার। হিন্দু ও সংখ্য়ালঘুদের ওপর অত্যাচার, দিকে দিকে সংঘর্ষের মাঝেই ভারত বিরোধিতায় মেতে উঠেছে মৌলবাদী ও রাজনৈতিক নেতারা। একসময়ের বন্ধু দেশ ভারতকে কার্যত শত্রু রূপে দেখতে শুরু করল ইউনুস প্রশাসন।
ভারত বিদ্বেষমূলক হুকার দিচ্ছে ওপার বাংলার নেতারা। কখনও বাংলা বিহার ওড়িষ্যা দখলের আবার কখনও বা চার দিনে কলকাতা দখলের হুমকি আসে বাংলাদেশের নেতাদের তরফ থেকে। প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করতেও পিছু হটেননি তারা।
আবার সম্প্রতি ভারতের চিকেন নেক ও সেভেন সিস্টার্স দখলের হুশিয়ারিও দিয়েছে বাংলাদেশ। পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তার দিক থেকে ‘চিকেন নেক’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেখানে জঙ্গি কাজকর্ম বৃদ্ধি পেলে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা চিন্তার। এ দিন শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এই কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। একটি সূত্রের দাবি, এ সব কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য ভারতের এই চিকেন নেক শুধু একটি ভৌগলিক শব্দই নয়। যা শিলিগুড়ি করিডোর নামেও পরিচিত ২২-কিমি প্রশস্ত করিডোরটি উত্তর-পূর্ব ভারতকে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করে এবং বাণিজ্য, পরিবহন এবং প্রতিরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন হিসাবে কাজ করে। এই করিডোরে যে কোনও বাধা উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে, এটি সংঘর্ষের ক্ষেত্রে প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে।
চীনের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে, স্যাটেলাইট চিত্রগুলি গত আট বছরে ভুটানের ভূখণ্ডের মধ্যে ২২টি চীনা গ্রাম নির্মাণের কথা প্রকাশ্যে এনেছিল। আর এই গ্রামগুলির মধ্যে আটটি ডোকলাম মালভূমির কাছাকাছি অবস্থিত, এটি একটি কৌশলগত এলাকা যেখানে ভারত এবং চীন ২০১৭ সালে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অচলাবস্থায় আবদ্ধ ছিল।
উপত্যকা এবং পাহাড়ের কাছাকাছি নির্মিত গ্রামগুলি ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, যাকে সাধারণত “চিকেন নেক” বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের এই করিডরটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের একমাত্র সংযোগ।
প্রসঙ্গত জিউই এই বসতিগুলির মধ্যে অন্যতম, যেটি পশ্চিম প্রান্তে শেথাংখা নামে পরিচিত ভুটানি চারণভূমিতে নির্মিত। এবং চীনা সামরিক ঘাঁটির সাথে এই গ্রামগুলির নৈকট্য কৌশলগত উদ্দেশ্যে তাদের সম্ভাব্য ব্যবহার সম্পর্কে শঙ্কা জাগায়, যা শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তাকে আরও বিপন্ন করে।
ডোকলাম মালভূমি বরাবরই আলোচিত। ২০১৭ সালে, বিতর্কিত অঞ্চলে একটি রাস্তা নির্মাণ থেকে চীনকে বাধা দিতে ভারত হস্তক্ষেপ করার পরে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে ৭৩ দিনের স্থবিরতা শুরু হয়। এই রাস্তাটি চীনকে শিলিগুড়ি করিডোরে আরও বেশি প্রবেশাধিকার দেবে, যা ভারতের কৌশলগত দুর্বলতা বাড়িয়ে তুলবে।
বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’ বা এবিটি এ রাজ্যে ‘স্লিপার সেল’ তৈরি করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, গোপনে সংগঠন বাড়ানোর পাশাপাশি শিলিগুড়ি করিডর ‘চিকেন’স নেক’-এ নাশকতা চালানো। আর সেখানেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডোকলাম মালভূমির রহস্যময়ী গ্রামগুলি।
Discussion about this post