বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে যে সমস্ত বাংলাদেশীরা উৎসব করেছেন। তাদের বলি, আপনারা বাঘ শিকার না দেখলেও, গল্প শুনে থাকবেন নিশ্চয়। সেখানে বাঘকে শিকার করার জন্য, একটি বিশেষ এলাকায় নধর ছাগল বা এই জাতীয় কিছু বেঁধে রাখা হয়। যার চিৎকার শুনে বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তাকে শিকার করতে এসে, নিজেই শিকার হয়ে যায়। কারণ ঐ নধর ছাগলটি ধূর্ত শিকারীর ফাঁদ। এখানে গল্পটা অনেক কঠিন, এবং বাংলাদেশ কান্ডে, শিকার একটি নয়, অর্থাৎ একটি বাঘকে শিকার করার উদ্যেশে বাংলাদেশ কান্ড ঘটানো হয়নি। এখানে শিকারের লক্ষ্য হল দু-টি দেশ। আর বাংলাদেশ হল,ধূর্ত শিকারীর ফাঁদ, যাকে সামনে রেখে, দু-টি দেশকে শেষ করতে চাইছে পাশ্চাত্যের কিছু দেশ। এখানে মজার ঘটনা হল, এই দু-টি দেশের সাথে পাশ্চাত্যের কোন দেশই যুদ্ধে না গিয়ে, দু-টি দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধিঁয়ে দিয়ে, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে। আর বিরাট ক্ষমতা সম্পন্ন বাংলাদেশ ভাবছে, তারা আবার স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এতক্ষনে অনেকেই গল্পটা বুঝে ফেলেছেন। তবে সবার জন্য একটু খুলে বলি। বাংলাদেশ যে আবার স্বাধীন হবে তার প্ল্যান চলছিল বহুদিন আগের থেকেই। এখন প্রশ্ন কেন। পাশ্চাত্যের মাথা ব্যাথা হল ভারত এবং চীন নামক দুটি দেশের দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক বিকাশ। এবং সব দিক দিয়ে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তোলা। আর সেই লক্ষ্যে বহুলাংশে সফল ভারত-চীন। আর এই সাফল্যই মাথা ব্যাথার কারণ পাশ্চাত্যের।হয়তো অদূর ভবিষ্যতে চীন এবং ভারতের দাপটে, ডলার-ইউরো মূল্যহীন হয়ে যাবে। তাই পাশ্চাত্যের বেশ কিছু দেশ চাইছে, কোনভাবে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে, ভারত যুদ্ধে এগিয়ে আসুক, তাহলে চীনও ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে। যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে কোন দেশের- আর্থিক অবস্থা যে কি হয়, তা ভালো করেই জানে সব দেশই। আর বর্তমানে কোন দেশ যুদ্ধে একবার জড়িয়ে গেলে, সেই যুদ্ধ থেকে তারা যে আর বেরোতে পারবে না,তা নতুন করে বলার কি আছে, যে দেশগুলি যুদ্ধে লিপ্ত এইমহুর্তে, তাদের দেখলেই বোঝা যায়। আপনারা ১৯৪৭ সালেই স্বাধীন হয়েছেন।নতুন করে স্বাধীন ভাবার কিছু নেই। আসলে আপনাদের ফাঁদ বানিয়ে দু-টি দেশকে শিকার করতে চাইছে পাশ্চাত্যের কিছু দেশ।তাই বিদ্বেষ নয়, শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখুন।আর দেশ ও দেশবাসীকে বাঁচান। এখন দেখার এই ফাঁদে পা না দিয়ে কিভাবে এশিয়ার শান্তি এবং স্থিতি বজায় রাখতে, ভারত এবং চীনের প্রধানরা কোন সাবধানী পদক্ষেপ নেন।
ডিএনআই বা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, বাংলায় বলতে হলে বলা যায় গোয়েন্দা বিভাগের অধিকর্তা। তাও যে সে দেশের নয়, বিশ্বের...
Read more
Discussion about this post