পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর ভারতের কুতৈতিক স্তরে অনেকটাই বদল আসবে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। ভারত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকার বিপক্ষে WTO বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনে গিয়েছে। পাল্টা ট্যারিফ লাগানোর কথা ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তান ও ভারতের সংঘর্ষে ডোনাল ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ভারত। এর পাশাপাশি চীনের বিপক্ষে পদক্ষেপ করতে শুরু করলো ভারত।
চীন একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছে। যেখানে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ৩০ টি জায়গাকে এমনিই তো করা হয়েছে এবং নামকরণ করা হয়েছে। যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অখন্ড একটি জায়গা, সেখানকার ৩০ টি জায়গা কে নামকরণ করা এবং ম্যাপ প্রকাশ করা, যেটা নিঃসন্দেহে ভারতের কাছে অবাক লেগেছে। অন্যদিকে ভারতের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে, এবং বলে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম ক্রিয়েটিভ নাম অনুমোদন হবে না, বাস্তবে ফিরতে হবে। অর্থাৎ চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘাত সামনে চলে এল। অর্থাৎ চীনের প্রতি ভারতের যে অবস্থান, সেটি কিন্তু ভারত অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে ভারতের তরফে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেটি হল চীনের পোর্টাল গ্লোবাল টাইমসকে এক্স থেকে ব্লক করে দিয়েছে। অর্থাৎ সেখান থেকে আর এই গ্লোবাল টাইমস কে দেখা যাবে না। এই গ্লোবাল টাইমসের ফান্ডিং করে চীন সরকারের দল করে বলে খবর। অন্যদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, আমাদের নজরে এসেছে যে চিন ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নাম বদল করার চেষ্টা করছে। আমরা এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভ্রান্ত প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করছি। নতুন করে নাম দিয়ে দিলেই সত্যটা বদলে যাবে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।
অন্যদিকে ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষের মাঝে তুরস্ক পাকিস্তানকে বেশ কিছু ড্রোন দিয়ে সাহায্য করেছে। তাদের পাশে থেকেছে। ২০২৩ সালে ভূমিকম্পের পর এদিকে ভারতী তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। অর্থাৎ তুরস্ক ভারতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। যার ফলে ভারত তুরস্ককে বয়কট করার দিকে হাঁটছে। অর্থাৎ অপারেশন সিঁদুর চলাকালীনই ভারত বুঝে গিয়েছে, কোন দেশ কিভাবে ভারতের পাশে থেকেছে, এবং কোন দেশ শত্রু দেশের পক্ষ নিয়েছে।
Discussion about this post