বেজে উঠলো যুদ্ধের দামামা! বালাকোট কৌশলের মাধ্যমে কি আবারো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর পথে ভারত? তার প্রস্তুতিও শুরু ভারতের! সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির হুঁশিয়ারি সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বার করতে দেশের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যাবে ভারত। শুনুন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা,,
প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের পরেই শুরু হচ্ছে ভারতীয় সেনাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি।
পাকিস্তান বলছে কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে তাদের কোন যোগ নেই তবে ইসলামাবাদের এই যুক্তিকে মানতে নারাজ নয়া দিল্লি। যাকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর করা হুঁশিয়ারি। মোদির এই করা বার্তার পরই এবার প্রত্যাঘাতে নেমে পড়েছে ভারতের সামরিক বাহিনীও। মরুভূমিতে চলছে কামান দিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি এবার কি তবে পাকিস্তানের বুকে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে ভারত?
ভারতের সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে জানানো হচ্ছে এই কামানের গর্জন চলছে থর মরুভূমিতে যেটি পাকিস্তান সীমান্তের খুবই কাছে। পূর্বে বালাকোটের যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ভারত। তবে এবার ভারত যুদ্ধ বিমান নিয়েই হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
ভারতে ঘটে যাওয়া পহেলগাঁও এর ভয়ংকর হামলার ঘটনার পর পাকিস্তান জানিয়েছিল তারা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে। এ নিয়ে করাচি উপকূলের কাছে নিজেদের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে’ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ -২৬ এপ্রিলের মধ্যে এই মিসাইল পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতও সামরিক তৎপরতা জোরদার করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মিসাইল ধ্বংসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। ভারতের প্রযুক্তিতে তৈরি INS সুরাট থেকে একটি নিম্ন উড্ডয়ন মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে আরব সাগরেই “অপারেশন আক্রমণ” নামে এক বৃহত্তর যুদ্ধ মহড়া চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, এই যুদ্ধ মহড়ায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর সেরা হাতিয়ার রাফাল ও সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান অংশ নিচ্ছে। এই মহড়ার অংশ হিসেবে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলটরা পাহাড়ি অঞ্চল সহ বিভিন্ন ভূখণ্ডে উচ্চ-তীব্রতার স্থল আক্রমণ অভিযানের মহড়া দেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই মহড়ার তীব্রতা ও গুরুত্ব ঠিক কতটা।
সাম্প্রতিক উত্তেজনায় দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতোমধ্যে উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পালা শুরু হয়েছে সমুদ্র ও আকাশপথে।
চলমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
Discussion about this post