চিকেনস নেকের কাছে সামরিক মহড়া শুরু ভারতের।ভারতের প্রত্যাঘাতে বিদ্ধস্ত পাকিস্তান। পাক সেনা একের পর এক হামলা চালালেও শেষমেষ এটে উঠতে পারেনি ভারতের সঙ্গে। একই সাথে ভারত পাক সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে, ভারতের বিরুদ্ধে সুদ চড়িয়েছে পাকিস্তানের বর্তমান মিত্র রাষ্ট্র। অর্থাৎ সেই মিত্র দেশে বর্তমানে যে সরকার শাসন কার্য চালাচ্ছে তাতে সেই দেশ পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত হয়েছে। ঠিকই ধরেছেন এখানে বাংলাদেশের কথাই বলা হচ্ছে। আর এবার সেই দেশকে নিশানা করে ভারতের হুঁশিয়ারি, যদি বাংলাদেশের গতি প্রকৃতি স্বাভাবিক না হয় তবে পাকিস্তানের মতো এই অবস্থা হবে বাংলাদেশের। তবে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহ অব্যাহত! তার মাঝেই ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ির কাছে তিস্তার চরে যুদ্ধের মহড়া দিল ভারতীয় সেনা বাহিনী।
সম্প্রতি একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে ভারতীয় সেনা। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ‘তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে’ এ মহড়া চালানো শুরু করলো ভারত।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে তিনদিন ধরে ০৮ থেকে ১০ মে তিনদিন এই মহড়া চালিয়েছে ভারত। ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছেই এ মহড়া চালানো হয়েছে।
গৌহাটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানান, তিস্তা প্রহার মহড়ায় নদীবিধৌত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি কতটা তা প্রদর্শিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, এই মহড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাকটিক্যাল ড্রিল ও খুব দ্রুত অভিযান চালানোর ক্ষমতাই আরও একবার ‘ভ্যালিডেট’ করেছে। এটি তাদের উৎকর্ষ ও আধুনিকায়নের প্রমাণ।
উল্লেখ্য ভারত পাক সংঘর্ষ বিরতি চললেও দেশের পশ্চিম সীমান্তে এখনও থমথমে। সেই আঁচ উত্তর-পূর্ব ভারতের মাটিতেও পড়েছে। তাই ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ির কাছে সেনা বাহিনীর যুদ্ধের মহড়া নিয়ে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। এনিয়ে ওয়াকিবহল মহলের বক্তব্য, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক করিডর ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ি। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম শিলিগুড়ি করিডর। দীর্ঘদিন ধরেই এই করিডরে নজর রয়েছে চীনের। সেভকের কাছে বাগরাকোটে তিস্তা নদীর চরে সেনাবাহিনীর তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে সেনা জওয়ানরা নিয়মিত মহড়া করেন। কখনও হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে ঘুরছেন জওয়ানরা। আবার কখনও ট্যাঙ্ক নিয়ে উচু-নিচু পথ দিয়ে দিকে ছোটেন তাঁরা। চরের ধুলোয় অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এক জায়গা থেকে আরএক জায়গায় দৌড়ে গিয়ে উঁচু ঢিবির আড়ালে আশ্রয় নেন জওয়ানরা। কোথাও মুহূর্তের মধ্যে লোহার সেতু তৈরি করেন জওয়ানরা। তা দিয়ে যায় একের পর এক ট্যাঙ্ক। এভাবেই ১০ মে পর্যন্ত মহড়া চলে। তাতে রোবট সহ অত্যাধুনিক কিছু অস্ত্রের মহড়াও হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই মহড়া বা ‘তিস্তা প্রহারের’ বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। এতে আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করতেও দেখা গেছে বলে সূত্রের খবর।
Discussion about this post