বঙ্গভঙ্গের পর প্রধান তিন দেশ নতুন করে তৈরি হয়। পশ্চিম পাকিস্তান,পূর্ব পাকিস্তান ও ভারত বর্ষ। পশ্চিম পাকিস্তান দ্বারা চালনা হত পূর্ব পাকিস্তান। হঠাৎ করেই বিজ্ঞপ্তি জারি, পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু ভাষার ব্যবহার শুরু করতে হবে। নিজের মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে, ও পশ্চিম পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে, পূর্ব পাকিস্তান শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত সরকার। অবশেষে লড়াই সমাপ্ত। তৈরি হলো নতুন দেশ, বাংলাদেশ। তারপর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয় বাংলাদেশের। শেষ সংসদীয় গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সরকার, অর্থাৎ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন চুক্তিভিত্তিক সুসম্পর্ক তৈরি হয় ভারত-বাংলাদেশের। কোটা আন্দোলন শুরুর পর অবসান ঘটে হাসিনা সরকারের। বাংলাদেশের শুরু হয় অন্তর্বর্তী সরকার। যা প্রধান দায়িত্বে মোঃ ইউনুস। তারপরেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন।
কি এমন সিদ্ধান্ত নিল ইউনুস?
ভারত বাংলাদেশ বর্তমান সম্পর্ক ঠিক কেমন ও তার ভবিষ্যৎ কি? এই বিষয় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা কিছুদিন আগেই বিএনপি’র সদর দপ্তরে গেছিলেন। সেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম এর সাথে বৈঠক করে। বৈঠকে বিএনপি নেতা ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার দিল্লি থেকে তাদের কূটনীতিককে অপসারণ এর সিদ্ধান্ত নিলেন।
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রচার হয়েছে মোস্তাফিজুর সহ মোট পাঁচজন উচ্চপদস্থ কূটনীতিককে ঢাকায় ফেরান নির্দেশিকা জারি করেন। সূত্রের খবর এরা সকলে রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশের স্থায়ী সদস্য, এবং হাসিনা সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহল। দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, অস্ট্রেলিয়ার কেন বেরায় নিযুক্ত হাই কমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী, বেলজিয়াম ব্রাজিল সে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসানসালেহ, পর্তুগালের লিসনে রাষ্ট্রদূত রিজিয়ানা আহমেদ।
তাহলে কি সেই কারণেই নয়া দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এবং অন্যান্য দেশের বাংলাদেশ হাইকমিশন আধিকারিকদের অপসারণ করলেন বাংলাদেশ? নাকি আগের দিনের ভারত-বাংলাদেশ বিএনপি বৈঠক সার্থকতা পায়নি।
Discussion about this post