বাংলাদেশ এখন প্রবল চাপে। একদিকে আরাকান আর্মি অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী। কার্যত বেসামাল ইউনূস সরকার। সম্প্রতি, বাংলাদেশের এত হুঙ্কার, হুমকির পাল্টা বড় পদক্ষেপ করল ভারত। সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশের TB2 ড্রোনের মোকাবিলা করার জন্য ভারত, বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে নিজেদের শক্তিশালী ড্রোনকে মোতায়েন করেছে। যা এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সবথেকে বড় পদক্ষেপ বলে ধরা হচ্ছে।
এর আগে ভারত একাধিকবার বাংলাদেশকে বার্তা দিয়েছে। কখনও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে, কখনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কিছুতেই লাগাম টানেননি ইউনূস। এইবার বাংলাদেশকে কঠর বার্তা দিতে বড় পদক্ষেপ করল ভারত। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমান্তে নিজেদের শক্তিশালী ড্রোন মোতায়েন করল। পাশাপাশি ভারতের বিমান বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক তিক্ত জায়গাতে পৌঁছেছে। তখন বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে TB2 ড্রোন কিনেছিল। এরমধ্যে ছয়টি ড্রোন ভারতের সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা হয়। এই তুর্কি ড্রোনগুলি ভারতের সীমান্তের কাছে যখন ঘোরাফেরা করছে, তখনই ভারতও পাল্টা নজরদারি শুরু করে। বাংলাদেশ আসলে এই ড্রোনগুলির মাধ্যমে কি করছে, সেটি বোঝার চেষ্টা করে। এমনকি মেঘালয়ের সীমান্তের কাছেও এই ড্রোনগুলি উড়তে দেখা যায়। বাংলাদেশ ভারতের উপর নজরদারি চালাচ্ছে তা কার্যত পরিষ্কার ভারতের। এদিকে ভারতও চুপ করে বসে থাকবে না। আগেই জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশ এই ধরণের কার্যকলাপ চালালে ইসরায়েল থেকে কেনা হেরন ড্রোনকে মোতায়েন করবে। এমনকি সীমান্তের সমস্ত জায়গা একাবরে সিল করে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা অস্ত্র মজুত করছে। ভারত বিদ্বেষ জিগার উঠার পরই নাকি অস্ত্র কেনার কথা ভেবেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুদ্ধ ছেড়ে এখন নিজেদের এলাকা সামলে রাখতে পারে কিনা বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিল, কেন ভারত শুধুমাত্র কড়া বার্তা দিয়েই থেমে রয়েছে? কিন্তু ভারত ভিতরে ভিতরে কূটনৈতিক চাল দিচ্ছে। হেরন ড্রোন মোতায়েন করছে। যা নিসন্দেহে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইউনূসকে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার, এই খবর শোনার পর বাংলাদেশের কী করণীয়!
Discussion about this post