সতর্ক দিল্লি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরণার্থী-নীতি নিয়ে কোনও রকম বিতর্কে না জড়িয়ে আপাতত নিজেদের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। চলতি বছরে ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আগে নতুন যে আমেরিকা-নীতি তৈরি হচ্ছে, তারও মূল থিম এটাই। এটা ঘটনা, ট্রাম্পের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অবস্থান থেকে যথাসম্ভব কূটনৈতিক লাভ তুলতে চায় ভারত। এবং গরম থাকতে থাকতেই লোহা বাঁকানো সহজ বলে, ট্রাম্প জমানার প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে চেষ্টা শুরু করতে চাইছে দিল্লি। কিন্তু ট্রাম্পের মুসলিম-বিরোধিতা নিয়ে যে ভাবে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে, সে ব্যাপারেও সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। গোটা দুনিয়ার মুসলিম শরণার্থীদের মুখের উপর আমেরিকার দরজা বন্ধ করার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও আপাতত নীরবই থাকতে চাইছে সাউথ ব্লক। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সরকারি ভাবে কোনো রা কাড়েননি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। ঘরোয়া ভাবে জানানো হচ্ছে, এই বিতর্কে কোনও এক পাল্লা ভারী না করে, কিছুটা নিরপেক্ষ থাকাই কাম্য। আপাতত নিজেদের শঙ্কা নিরসন এবং স্বার্থ আদায়কেই অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সাউথ ব্লক মনে করছে, ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই বড় অভিযানে নামতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ইয়েমেনে আল কায়দার বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়েছে মার্কিন সেনা। ৩০ দিনের মধ্যে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার জন্য তাদের তৈরি থাকতে বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে যথেষ্টই চাপে রয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘এটাই উপযুক্ত সময় ভারতের জন্য।’’ এরই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার নিয়ে এবার মুখ খুলল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সেখানকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বলা হবে। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, ‘আমরা সব বাংলাদেশি নেতাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি যে ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশির নিরাপত্তা জরুরি।’ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতীয় আমেরিকানরা হোয়াইট হাউসের সামনে, শিকাগো, নিউইয়র্ক, এসএফও, ডেট্রয়েট, হিউস্টন এবং আটলান্টা সহ বেশ কয়েকটি শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং মিছিল করেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে। জো বাইডেন যাতে বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার বন্ধ করে পদক্ষেপ নেন, তারও দাবি জানানো হয়েছে। বিপুল সংখ্যক ভারতীয়-আমেরিকান বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে হোয়াইট হাউস থেকে ইউএস ক্যাপিটল পর্যন্ত একটি মিছিল করেছে। “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” এবং “হিন্দুদের রক্ষা করুন” এর মতো স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বাংলাদেশ সরকার যাতে হিন্দুদের সুরক্ষা দেয় ও হামলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তারও দাবি জানানো হয়েছে। হিন্দুঅ্যাকশন নামে ওই সংগঠনের পক্ষে উৎসব চক্রবর্তী বলেছেন, ‘বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায় এবং ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তর হিন্দু প্রবাসীরা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সমর্থনে পথে নেমে এসেছেন। কারণ চট্টগ্রাম, রংপুর-সহ বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে ক্রমাগত হিংসতা চলছে।’
বাংলাদেশের পূর্ব প্রান্তের দেশ মিয়ানমার। যেখানে এখন চলছে তীব্র গৃহযুদ্ধ। একদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অন্যদিকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এমন মোট ৮টি...
Read more
Discussion about this post