ভারতীয় সেনার চমকপ্রদ পদক্ষেপ বাংলাদেশকে নিয়ে। চট্টগ্রাম থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ভারতের সেনাবাহিনীর সদ্যসরা এবং উচ্চপদস্থ কর্তারা রেইকি করেন। প্রশ্ন উঠছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটা যে ঘটনা ভারতকে বিব্রত করছে তার পাল্টা অ্যাকশানে কি ভারতীয় সেনারা ঝাঁপিয়ে পড়বে এরপরেই সেনার তরফ থেকে করা ঘোষণায় নিঃসন্দেহে ঘুম উড়বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনুস। ভারতের উদারতাকে বাংলাদেশের ছাত্র নেতারা যেভাবে দুর্বল ভাবতে শুরু করেছিল এবার তার পাল্টা অ্যাকশান যে ভারত নিতে চলেছে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। ভারতের সেনাবাহিনীর সদ্যসরা জরুরিকালীন ভিত্তিতে মিজোরামে একটি মিলিটারি বেস তৈরী করতে চলেছেন। যে বেসটি তৈরী করা হবে তা চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। এর আগে ভারত কখনও চট্টগ্রাম সীমান্তের কাছে মিলিটারি বেস তৈরী করেনি। এই প্রথম ভারতের চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে বড় পরিকল্পনা। ফলে এটি ইউনুস ও তার দোসরদের ঘুম ওড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
গতকাল অর্থাৎ ১৯ শে ডিসেম্বর ইন্দো – বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট জেনারেল অফিসার আর সি তিওয়ারি আইজলের কাছে থুয়াম্পুইতে রেইকি করতে যান। সেখান থেকে তিনি পারভা ও সিলসুরি নামক দুটি জায়গায় যান। কিন্তু হটাৎ কেন ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডার অফিসার যেন চট্টগ্রাম সীমান্তের কাছে একাধিক জায়গা দেখছেন তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পারভা নামক জায়গাটি চট্টগ্রাম সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে। এই প্রথমবার এই স্থানটিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদ্যসরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন। অপর স্থান সিলসুরি নামক জায়গাটি চট্টগ্রাম সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। মিলিটারি তথ্য অনুযায়ী, পারভা ও সিলসুরি মধ্যে যেকোনও একটি জায়গায় ভারত জরুরিকালীন ভিত্তিতে মিলিটারি ডিপ্লয়মেন্ট করবে। অর্থাৎ, এই জায়গা গুলিকে কেন্দ্র করে ভারত নবনির্মিত মিলিটারি বেস করছে। এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে, এই অঞ্চলে মিলিটারি বেস তৈরী মানে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে ভারত বড় কোনও পদক্ষেপ নেবে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই জায়গা গুলি রেইকি করা মানে ভারতের সেনাবাহিনী দ্রুততার সাথে প্ল্যান তৈরী করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইখানে S400 ডিফেন্স সিস্টেম, রাফালে ফাইটার জেট, ব্রহ্মস মিশায়েল এছাড়াও একাধিক অস্ত্র ও ট্যাংকার ডিপ্লয় করতে শুরু করবে ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এই অঞ্চলে এর আগে ভারত ডিমাপুরকে কেন্দ্র করে তিন কম্পানির মিলিটারি বেস এই অঞ্চলে ছিল। কিন্তু চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে এই প্রথম। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় থেকে এই সেনাঘাঁটিটি সক্রিয়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের এই সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে মিলিটারি বেস বানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। কিন্তু এখন ভারত জরুরিকালীন ভিত্তিতে এইখানে মিলিটারি বেস বানাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারভা ও সিলসুরির মধ্যে যে কোনও একটি জায়গাকে যদি বেঁচে নেওয়া হয় তাহলে ডিমাপুরের সাথে এটিকে যুক্ত করা হবে। এ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, বাংলাদেশ যতই ভারতকে নিয়ে হুমকি – হুঁশিয়ারি দিক, ভারত পাল্টা কোনও হুমকি – হুঁশিয়ারি না দিয়ে কাজে করে দেখায়।












Discussion about this post