বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সম্পর্কে চীনে সাম্প্রতিক মন্তব্য উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে “স্থলবেষ্টিত” এবং ঢাকাকে “এই অঞ্চলের একমাত্র সমুদ্রের অভিভাবক” হিসেবে বর্ণনা করে তার মন্তব্য ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বারবার বাংলাদেশেরই মন্তব্যকে একেবারে ভালো চোখে দেখছে না ভারত সরকার। এবার সামরিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ ভারতের।
গত আগস্টে শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর ইউনূস বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে, ঢাকা চীন এবং পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে – উভয়ই ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী। পরিবর্তিত সম্পর্ক এবং ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে, নয়াদিল্লি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি করিডোরে নিরাপত্তা জোরদার করছে যা উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে সংযুক্ত করে। আর এই শিলিগুড়ি করিডোর নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যের পরেই শিলিগুড়ি করিডোরকে নিরাপত্তা দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, যথেষ্ট তৎপর ভারত। রনসজ্জায় সজ্জিত ভারত। খবর উঠে আসছে, S 400 ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে অস্ত্র মজুত করা হয়েছে।
আসলে ভারতের ভৌগোলিক দিক থেকে চিকেন নেক একটি স্পর্শকাতর এলাকা। এইবার ভারতও চুপকরে বসে নেই। এই অঞ্চলে রাশিয়া নির্মিত S 400 মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ফ্রান্স থেকে আনা রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে, যখন চীন বাংলাদেশে তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
বারবার ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করা, যেটা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ভারত। চিকেন নেকের নিকটবর্তী এলাকায় প্রচুর অস্ত্র মজুত করেছে ভারত। হাসিমারা বিমান ঘাঁটিতে রাফায়েল যুদ্ধ বিমান রাখা হয়েছে। এমনকি চিকেন নেকের বিভিন্ন জায়গায় উন্নত পরিমাণে বহু যুদ্ধ অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থের চিকেন নেক নিয়ে যে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ, সেটা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে ভারত। শিলিগুড়ি করিডোরে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ভারত। প্রতিনিয়ত নজরদারি চলছে।
আসলে যত দিন যাচ্ছে, ইউনূস বুঝতে পারছেন, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে বাংলাদেশ ভালো থাকতে পারবে না। এমনকি ভারতকে শত্রু মনে করতেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের একে একে সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আদতে ক্ষতি হচ্ছে দেশের। যদিও তিনি দেশের ক্ষতির কথা আদেও কতটা ভাবেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এখন দেখার, সেভাবে ভারত রনসজ্জায় সজ্জিত, সেখানে সত্যিই আসলে যুদ্ধের দিকে পা বাড়ায় কিনা ভারত।
Discussion about this post