আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সামরিক শক্তি কতটা শক্তিশালী? কোন জায়গাতে রয়েছে আমাদের দেশ, সেই নিয়ে অনেকের নানা প্রশ্ন। সেই তথ্য নিয়েই আলোচনা করব আজকের প্রতিবেদনে। তবে এটুকু প্রাথমিকভাবে বলাই যায়, ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের সময় যে ভারত দুর্বল ছিল, সেই ভারত একেবারেই পাল্টে গিয়েছে। যে কারণে ভারতে এখন অনেক দেশই সমঝে চলে।
তথ্য বলছে, তৃতীয় শক্তিধারী দেশ হল ভারত। জাপানকে হটিয়ে তৃতীয় জায়গা করে নিয়েছে আমাদের দেশ। লুই ইনস্টিটিউট এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সের তালিকায় ভারতের তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে। সামরিক শক্তি, রাজনৈতিক ক্ষমতা, শত্রু মোকাবিলাতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। বিভিন্ন সময় রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনে নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডার মজবুত করেছে। ভারতের সেনাবাহিনী রয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে চীন এবং তৃতীয় স্থানে ভারত। তথ্য বলছে, ভারতের প্রতিবেশী দেশ রয়েছে সামরিক দিক থেকে ১৬ নম্বরে এবং বাংলাদেশ রয়েছে ২০ নম্বরে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স বলছে, প্রথম স্থানে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া এবং এই তালিকা অনুযায়ী চীন রয়েছে তৃতীয়। ভারত চতুর্থ স্থানে। তারা বলছে, ভারত সামরিক শক্তির দিক থেকে এতটাই নিজেদের গতি বাড়িয়েছে, তা অবাক করার মতো।
ভারতের কাছে উল্লেখযোগ্য ড্রোন রয়েছে। যার সংখ্যা ৬২৫টি। এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত ৬০০টি স্পাইলাইট ড্রোন। যেগুলি ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ইসরায়েল থেকে ৪০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে উন্নত মানের ড্রোন বহণ করেছে। ১০টি হিরণ ড্রোন সংগ্রহ করেছে। এই ড্রোনগুলিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর পাশাপাশি কড়া নজরদারি চালাতে পারে। এমনকি অস্ত্রসজ্জিতও রয়েছে ড্রোনগুলিতে। ভারতের পাওয়ার ইনডেস্ক স্কোর ০.১২৩। চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য ভারত ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করেছে। ভারতের সামরিক বাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। এছাড়াও দেশের ক্ষেপণাস্ত্র ট্যাঙ্ক, মিসাইল, সাব মেরিন, অত্যাধুনিক বিমান, যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। ভারত আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিকরণে অবিচল। ভারত রাশিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি পারমাণিক শক্তি হিসাবে সামরিক সক্ষমতা সুরক্ষিত রাখছে। দেশটি তার প্রতিরক্ষা কাজেও ব্যাপক হারে বাড়িয়ে চলেছে।
পাশাপাশি ভারত সম্প্রতি আমদানি করেছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস প্রশাসনকে। রাফাল তে রয়েছেই। এমনকি গুরত্বপূর্ণ আরও একটি তথ্য রয়েছে। যা প্রতিবেশী দেশগুলির চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েচে। ভারতের কাছে আসতে চলেছে সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে এটি। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। এমনকি ভারত একটি শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দেশ। অর্থাৎ ভারত যে দিনে দিনে তাদের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ভারতের সামরিক শক্তির তথ্য দেখে প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশও চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
Discussion about this post