কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। ২৬ জন পর্যটককে খুন করল জঙ্গিরা। এই ঘটনায় কোনও রাখঢাক না করে পাকিস্তানের দিকে নিশানা করেছে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে নয়া দিল্লি। থেমে থাকেনি ইসলামাবাদও। এইবার দুই দেশের উত্তেজনা ঠেকাতে উদ্যোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানা যাচ্ছে, গভীর রাতে ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে ফোন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর। সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা করবে আমেরিকা। তবে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
পহেলগাঁওয়ে যেভাবে জঙ্গি নাশকতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুই দেশকেই একটি সমাধানে আসার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ চড়াও হয়। তাই এবার শেষমেশ আসরে নামলেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তিনি এবার সরাসরি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্করকে ফোন করলেন। এটি নিয়ে বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস ওয়েবসাইটে খবর জানান। তিনি লেখেন, বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন সন্ত্রাস দমনের। সব সময় সঙ্গে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এই ঘটনা ঘিরে যে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রশমনের জন্য বলেছেন তিনি। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় যাতে শান্তি বজায় থাকে, তার কথাও বলেছেন তিনি।
মার্কিন বিদেশ সচিবের ফোনের আগে আগে জানা যাচ্ছে, সাংবাদিক বৈঠকে ট্যামি ব্রুস বলেছিলেন, আমেরিকা উভয় পক্ষের সঙ্গে অর্থাৎ ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ না যাতে না হয়, বারবার বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। সেই দিনই সৌদি আরব ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে গুলিবর্ষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমনকি ভারতের বিদেশমন্ত্রী ভারতের পাশে থাকার জন্য কুয়েতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওই সাংবাদিক সম্মেলনে ট্যামি ব্রুস একটি প্রশ্নের উত্তরে এড়িয়ে যান। যেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর করা একটি মন্তব্য নিয়ে। কাশ্মীরের নৃশংস ঘটনা ঘটার পরেই পাকিস্তানের থেকে নানা রকম মন্তব্য ধেয়ে আসে। এর মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হঠাৎ বলেন, আমরা কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসকে লালন করে আসছি। শুধু তাই নয় আমেরিকা এবং পশ্চিমী দেশগুলির জন্য এই কাজটি আমরা করে আসছি বলে জানান তিনি। হঠাৎ পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এটি কেন বললেন? যদিও তারই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে আমেরিকা। তারই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। তবে এখন দেখার, ভারত পাকিস্তানের পদক্ষেপ পাল্টা পদক্ষেপে মার্কিন বিদেশ সচিবের বার্তায় কিছুটা প্রশমিত হয় কিনা!
Discussion about this post