ভারত পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিশ্ব দরবারে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। চর্চিত হচ্ছে অপারেশন সিঁদুর। তবে এর মধ্যেই সংঘর্ষ বিরতি, ডিজিএমও এর পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তবে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে প্রথম ট্রাম্পই এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি দিয়েছিলেন। তারপর দুই দেশের তরফে বিবৃত জারি করা হয়েছিল। এখানে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, আগ বাড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন এই পোস্ট করতে গেলেন ? তবে কি ট্রাম্পের চাপে সংঘর্ষ বিরতি হল? যদিও সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এই নিয়ে কোনও মন্তব্যই করলেন না। শুধুমাত্র জানিয়ে দিলেন, পাকিস্তানই গোটা বিশ্ব দরবারে ঘুরে বেড়িয়েছে সংঘর্ষ বিরতির জন্য। অর্থাৎ ভারত যুদ্ধও চাইনি, আবার সংঘর্ষ বিরতির জন্য কোনও আবেদন বা কাকুতি মিনতি করেনি।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারেনা। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলতে হবে। কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে হবে। বাণিজ্য এবং সন্ত্রাস একসঙ্গে হবে না। ঠিক কি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুনুন
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত পাকিস্তানের সংঘর্ষ নিয়ে ঠিক কি বলেছিলেন, শুনুনএখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, প্রথমেই দুই দেশের সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে পোস্ট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর দুই দেশ থেকে বিবৃতি এল। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প কার্যত হুশিয়ারি দিলেন। তিনি বললেন, আগের সংঘর্ষ বিরোধী তারপরে বাণিজ্য। প্রত্যেকেই ভেবেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি তার দীর্ঘ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আমেরিকা বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবেন ভারতের। কিন্তু তিনি সেটা করলেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে করা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করা হয়নি। স্থগিত রাখা হয়েছে। পাকিস্তান সন্ত্রাস চালালে, করা হাতে তা প্রতিহত করা হবে। পাকিস্তানের একাধিক ড্রোন মিসাইল ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, লস্কার ই তৈয়বা, জইশ ই মহম্মদ এর মত জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। আর তাতেই ফুঁসছে পাকিস্তান। এবার যদি ফের পাকিস্তান হামলা চালানোর চেষ্টা করে, ভারত নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল মানবে না।
Discussion about this post