গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিলেও ভারতবর্ষ। যে খবর প্রকাশ্যে এসেছে তা এক লহোমায় চীন আমেরিকার সহ আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ভারতবর্ষ এবার 6th জেনারেশন ফাইটার জেট উদ্বোধনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। গোটা প্রক্রিয়াটা নিয়ে এতদিন পর্যন্ত ভারতবর্ষের তরফ থেকে কোনরকম স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়নি কার জন্য বলাই যায় যে গোপনে কাজ চালাচ্ছিল ভারতবর্ষ। কিন্তু ঠিক দুদিন আগেই যখন এই ফাইটারজেটির একটি পরীক্ষামূলক উড়ানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল তখনই এই প্রক্রিয়াটির একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে চলে আসে। কার্যত চমকে যায় চীন ও আমেরিকা। সকলেই জানি এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকা, এবং টেকনোলজি দিক থেকে চিনও রয়েছে কিন্তু এই ফাইটার জেট বাজারে আসলে নিঃসন্দেহে ভারত বর্ষ ক্ষমতা দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এবার প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের ফাইটার জেট প্রস্তুতিতে কেন গোপনীয়তা বজায় রাখল ভারত?
একটি কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে এই ফাইটার জেটে যে ধরনের টেকনোলজি বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করেছে ভারত সরকারের অনুমোদিত কোম্পানি ডিওরডিও, তারা কোনভাবেই চায়নি যে এই ফাইটার ফেটে যে ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে তা অন্য কোন দেশ জেণে ব্যবহার করতে শুরু করুক। আর ডোনাল্ড ক্ষমতায় আসার পর কার্যত গোটা বিশ্বকে চমকে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা করেছে ভারত সরকার। এই কারণেই ২০২৬-এ এই ফাইটার জেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানিয়েছেন ভারত সরকার।
এই নতুন প্রজন্মের ফাইটার জেটটি কোন মিসাইল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না। মূলত এটি এআই দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, এতে লেজার পদ্ধতিও ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই পদ্ধতির দাঁড়ায় বিশ্বের যে কোন শত্রু ঘাটিকে ও শত্রু পক্ষকে লেজার ছুড়ে এক নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এই নয়া প্রজন্মের ফাইটার জেট এর নাম বলছে ফিউচার আনম্যান্ড ফাইটার এয়ারক্রাফট বা FUFA। এই ফাইটার জেটটির গতি এতটাই বেশি যে এই ফাইটারজেটে কোন পাইলটের প্রয়োজন নেই। এইজেক্টটিতে যে ধরনের গতি রয়েছে তা মূলত হাইপারসনিক মিসাইলে দেখা যায় আর এই গতি কোন মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব। পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ হবে এআই দ্বারা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটিই গোপনীয়তা বজায় রেখে চালিয়েছে ভারত। যা নিয়ে গোটা বিশ্বে আলোচনা তুঙ্গে
Discussion about this post