বাংলাদেশের সফলতম ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম নাম আসে মহম্মদ ইউনূসের। নাম, যশ, খ্যাতি, ক্ষমতা, সম্মান, পুরস্কার ঈর্ষণীয়। রকেটের গতিতে উত্থান হয়েছে ইউনূসের। তিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু শুরুটা যেমন হয়েছে, বর্তমানে যেমন রয়েছেন, শেষ অংশে কি তিনি একই রকম থাকবেন? নাকি তার পতন ভয়ঙ্কর হতে চলেছে? এই প্রশ্ন উঠছে। তার কারণ ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত লন্ডনের আইন সংস্থা ডাউটি চেম্বার এর তরফ থেকে এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে খবর। বিদেশ সফরে গিয়ে বিদেশী পরিকল্পনার ফাঁদে পরতে হল ইউনুসকে। তবে কি এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিন গোনা শুরু হল?
ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার হল ব্রিটেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থা। যারা মূলত নাগরিক স্বাধীনতা, অভিবাসন নীতি, আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক নিয়ে কাজ করে। এই ডাউটি স্ট্রিট চেম্বারের উল্লেখযোগ্য সদস্য হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তাদের ১৫ অনুচ্ছেদে যোগাযোগ বাংলাদেশে এই নৃশংসতার শিকার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফত খবর, মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এই সংস্থার হাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে খবর। এমনকি তারা বিষয়টি ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে। তার মধ্যে সে চারটি সু নির্দিষ্ট অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এমনকি তারা নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণের পর একাধিক সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা, সংখ্যালঘু মানুষ এবং শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য বিনা উস্কানিতে এবং সহিংস আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মব কালচার চলেছে। এই অভিযোগগুলোর জন্য অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এই হামলার প্রকৃত ইঙ্গিত দেয় যে, এগুলো প্রশাসনিক সর্বোচ্চ স্তরে পরিকল্পিত ছিল। এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার কোর্টে সংবিধি একটি বিশেষ অনুচ্ছেদের অধীনে হত্যা, নিপীড়ন, বাক স্বাধীনতা এগুলি গুরুতর মানবতা বিরোধী অপরাধের সমতুল্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় ২০২৪ সালে নভেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার কোর্টে ইউনূসের বিরুদ্ধে মানবতার বিরোধী অপরাধের দায়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সেটির তুলনায় ডাউটি স্ট্রিট চেম্বারের উদ্যোগ অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অনেকেই বলে থাকেন, শেখ হাসিনার জীবনও ঈর্ষণীয়। তিনি ১৬ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন। এমনকি তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। বাংলাদেশের বহু মানুষ তাকে সম্মান করতো। প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি দেশের কল্যাণ করেছেন। কিন্তু শেষমেষ দেখা গেল তার পতন ঘটল। এমনকি তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হলো। পরিস্থিতির শেখ হাসিনাকে সায় দেয়নি। এখন মোঃ ইউনুস বলছেন, ছাত্র নেতারা তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। সেই ছাত্র নেতারাই তার বিপক্ষে অবস্থান করতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে তিনি ফেঁসে গেলে, ছাত্র নেতারা পাশে থাকবে না। সেটা বলাই বাহুল্য। উল্টে তাকে গতিচ্যুত করবে। অর্থাৎ মোহাম্মদ ইউনুসের পরিণতি অত্যন্ত ভয়ংকর হতে চলেছে বলে মত বহু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।
Discussion about this post