একটা গুলির শব্দে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও গোটা দেশের অভ্যন্তরে নেমে এসেছে অন্ধকার ছায়া। ষড়যন্ত্র করে ছাত্র নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বত্রন্ত প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর ঘটা হামলার ঘটনায় দেশের অন্যতম জনপ্রিয় বিরোধী দল বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। হাদির এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অনেকের ধারণা এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তো কারোর ধারণা হাদির মৃত্যুর পিছনে বিদেশী হাত। কিন্তু এই সকল গুঞ্জনকে ছাপিয়েও বিএনপির নাম শীর্ষ পর্যায়ে উঠে এসেছে।
ওসমান হাদি ছিলেন একজন লড়াকু। যিনি ভারত বিরোধী মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। বাংলাদেশের ছাত্র – যুব সমাজে হাদি হয়ে উঠেছিলেন একজন আইকন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনুস হাদিকে তুলনা করেছেন বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে। যে ঢাকা ৮ আসন থেকে হাদির নির্বাচনে লড়ার কথা ছিল সেই আসনে হাদির প্রতিপক্ষ ছিলেন বিএনপির দাপুটে নেতা মির্জা আব্বাস। শোনা যাচ্ছে, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে হাদি মাঠে নেমে নির্বাচনে লড়বে বলে মির্জা আব্বাসের লোকজন হাদিকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিত। বিএনপির নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে তারা হাদিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করত।
অন্যদিকে, জনগণের ধারণা হাদিকে গুলি করিয়েছে আওয়ামীলীগ। এর পিছনে হাত রয়েছে ভারতের। অভিযোগ করা হচ্ছে হাদির খুনিরা নিরাপদে ভারতে আশ্রয় পেয়েছে। এছাড়াও হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। দেশ প্রেমিকরা দাবি তুলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার, ভারতীয় দূতাবাসে প্রতিবাদ করার। কিন্তু এত কিছুর পরেও নীরব রয়েছে বিএনপি। যা দলের জন্য আরও চাপের হয়ে উঠছে। সম্প্রতি শহীদ মিনারে একটি সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেখানে সব দলের উপস্থিতি থাকলেও সেখানে উপস্থিত হয়নি বিএনপি। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে, ভারতের বিরুদ্ধে কথা হবে তাই বিএনপি যায়নি। সভায় ইনকিলাব মঞ্চের আব্দুল্লা জাভের বলেছেন, বিএনপি রাজি হওয়ার পরেও আসেনি। এ অসঙ্গতি রহস্যের সূত্র, যেটি বিএনপিকে ভারতের দালাল হিসেবে চিহ্নিত করে। ওই সভায় মাফফুজ আলাম বলেন, একটা লাশ পড়লে আমরা লাশ নেব।
হাদির মৃত্যুর এই ঘটনা বিএনপির জন্য বড় ক্ষতি। হাদির মৃত্যুতে তারা ফাঁদে পড়েছে। তারা রাজনৈতিকভাবে ফেঁসে গেছে। যা থেকে বেড়ানোর সুযোগ নেই। জনগণের কাছে তাদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি তাদের এই নিরাবতা ভাঙবে নাকি এই রহস্য আরও গভীর হবে তা সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি জার্মানির বিশেষজ্ঞরা ও জুলকার নাইন বলছেন, এটা আওয়ামীলীগের কাজ। খুনিরা ভারতের সহায়তায় ভারতে আশ্রয় পেয়েছে। অথচ, তাদের করা এই গাদা গাদা দাবিতে তাদের কাছে কোনও তথ্য প্রমান নেই। ফলে এই বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে তারা সকলেই জনগণের অন্দরে মিথ্যা ন্যারেটিভ সৃষ্টি করছে।












Discussion about this post