বাংলাদেশ ভেঙে হিন্দুদের জন্য একটি স্বাধীন দেশের দাবি। এই দাবি তুলছে বঙ্গসেনা। বাংলাদেশ সরকার বঙ্গসেনাকে বলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। অন্যদিকে মুহম্মুদ ইউনূসের সচীবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। কারা আগুন লাগালো? এর পিছনে কি কোনও চক্রান্ত রয়েছে? তবে কি হাসিনাকে বাঁচাতে এই ধরণের ঘটনা? একাধিক প্রশ্ন। এই প্রতিবেদনে মূলত এই দুই বিষয় তুলে ধরব।
গতকালই ঢাকায় বাংলাদেশের সচীবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এমনকি পরপর তিনটি বিল্ডিংয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটাস্থলে পৌঁছয় দমকলবাহিনী। প্রায় ছয় ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সূত্রের খবর, সচীবালয়ে থাকা বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ নথি, এমনকি গোপন কয়েকটি নথি পুড়ে গিয়েছে। তবে কীভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটনা, তা জানা যায়নি। এদিকে তদারকি সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। চলছে তদন্ত। এরমধ্যেই সামনে এসেছে বিএনপি নেতার অভিযোগ। তারা সরাসরি অভিযোগ করছেন, শেখ হাসিনা সম্পর্কে গুরত্বপূর্ণ কিছু নথি চেয়েছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। এরপরেই আচমকা আগুন লাগে। এখানেই অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে কি হাসিনাকে বাঁচাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটল? শেখ হাসিনার সমর্থকরাই এই আগুন লাগিয়েছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ আসছে। যাতে শেখ হাসিনার আমলে বিপুল দুর্নীতি সাধারণ মানুষের সামনে না আসে। এদিকে কিছু মানুষ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র কে দায়ী করছে। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত কমিটি এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পেশ করতে পারেনি বলে খবর।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যে সচিবালয়ে বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের মন্ত্রণালয় রয়েছে, সেখানে বসেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা-সহ একাধিক উপদেষ্টারা। সেখানকার নিরাপত্তা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, সেখানে কিভাবে এমন আগুন লাগলো। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, যে ভাবনে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিল বেছে বেছে সেই বিল্ডিংগুলি কেন পুড়ে ছাই হয়ে গেল? ষড়যন্ত্র যে কেউ করতে পারে, কিন্তু কঠওর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কিভাবে ঢুকে এভাবে অন্তর্ঘাত চালানো সম্ভব হল? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও এই প্রশ্ন তুলছেন। তাহলে কি বাংলাদেশ সেনা, পুলিশ ও প্রশাসনের ভিতর এখনও কি হাসিনার সমর্থকরা সক্রিয় হয়ে রয়েছে? বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, এবার ভারত সরকার যদি হাসিনার প্রত্যর্পণ মামলায় যদি প্রামান্য নথি চায়, তাহলে কি করবে বাংলাদেশের তদারকি সরকার? এ কথা অনস্বীকার্য, সচিবালয়ের এই আগুনে সবচেয়ে লাভবান হলেন শেথ হাসিনা।
তারমধ্যেই বাংলাদেশ ভেঙে তার স্বাধীন হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে হবে। এই দাবি রাখছে বঙ্গসেনা। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তারমাধ্যেই ভারতের অভ্যান্তরে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের এমন ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে কেন ভারত পদক্ষেপ করছে না। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ভারত কি কাজ করছে তা বিবৃতি দিয়ে জানাবে না। কিন্তু এখটু ভেবে দেখলেই বোঝা যাবে ভারতের কি ভূমিকা। হঠাৎ করেই চীনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ মিটে যাওয়া, পাকিস্তানের দুই সীমান্তে তালিবানি এবং বালুচিস্তানের হানা, বঙ্গসেনাদের নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি…এগুলিকেই উত্থাপন করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Discussion about this post