মোদি এবং হাসিনার রাজনৈতিক রসায়ন কতটা দৃঢ় তা বারবার আলোচিত হয়েছে বিভিন্ন মহলে। গণমাধ্যমের মধ্যেও এই বিষয়টি বহুল চর্চিত। তাদের দুজনের মধ্যে যে এখনও যোগাযোগ রয়েছে, বা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আলোচনা করেই যে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে যে এগোচ্ছে হাসিনা সেই বাস্তবতা হয়তো অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই।
সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোরন পরে গিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে এক ঘন্টার বক্তব্য বা অডিও বার্তা প্রচার করলেন শেখ হাসিনা। তবে প্রশ্ন তিনি কোথা থেকে এই বার্তা দিলেন? সব তথ্য বলছে তিনি ভারতেই আছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির সরকার কয়েক সপ্তাহ আগেই নয়া দিল্লি কে স্পষ্ট সতর্ক বার্তা দিয়েছিল, ভারত যেন হাসিনাকে কার্যক্রম চালানোর সুযোগ না দেয়। কিন্তু তাতেও কোন পরিবর্তন আসেনি বরং শেখ হাসিনা ভারতে বসেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরের রাজনীতিকে উত্তাল করে দিচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে মোদি সরকার কি ইচ্ছাকৃতভাবে হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে? বিশ্লেষকরা বলছেন হাসিনার রাজনীতিতে এরকম সক্রিয়তা মোদি সরকারের পরোক্ষ মদত ছাড়া সম্ভব নয়।
ভারতের বিশ্লেষক সিদ্ধান্ত রায় বলছেন, দিল্লি চাইলে এক নিমিষয়ে হাসিনার রাজনৈতিক লাইভ বন্ধ করে দিতে পারতো কিন্তু তারা সেটা করেনি , কেন? এটি কি তার মানবিক আশ্রয় নাকি ভেতরে কোন রাজনৈতিক সমঝোতা রয়েছে।
রাজনৈতিক নির্বাসনে থাকা নেতাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সাধারণত কড়াকড়ি পদ্ধতির মধ্যে বদ্ধ থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনা কিভাবে অডিও বার্তা প্রচার করছেন? বিশেষজ্ঞদের ধারণা তিনি হয়তো ভিপিএন ফোন, ও টেলিগ্রামের মত এনক্রিপ্টেড প্লাটফর্ম ব্যবহার করছেন। তার ঘনিষ্ঠমহলের দ্বারাই তার বার্তাগুলি প্রচার করা হচ্ছে।
৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে অনুষ্ঠানে ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ঢাকা থেকে সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নয়া দেখলে কেন শেখ হাসিনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে? বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টা জানাচ্ছেন শেখ হাসিনা যদি ভারতে বসে একের পরে কূটনৈতিক চাল দিয়ে যান তাহলে সেই দায় মোদি সরকার কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
Discussion about this post