বাংলাদেশের সংবিধান বাতিল করে, সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতিকে গ্রেফতার করতে চায় ইউনূস। এখন ভারেতর দুই দিকে পাকিস্তান।ভারত কি আক্রমন করবে বাংলাদেশকে। নাকি এখন অপেক্ষা করবে সঠিক সময়ের জন্য। চিকেন নেকে যুদ্ধ মহড়াকে যুদ্ধে পরিনত করবে ভারত। ভারতের হাতেও সময় ২৬দিন।
ইউনূসের ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা বাংলাদেশকে কট্টর ইসলামী দেশে পরিনত করার। কিন্তু সেই স্বপ্নের পরিকল্পনায় বাঁধা হচ্ছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার এবং রাষ্ট্রপতি চুপ্পু। তাই তাদের সরিয়ে দিতে বড় পরিকল্পনা সংবিধান বাতিলের নোটিফিকেশন জারি। মাত্র ২৪ টি কর্মদিবসের পরই বাতিল হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধান। আর সেই সঙ্গে সংবিধানে থাকা রাষ্ট্রপতি এবং সেনাবাহীনির তিন প্রধানরা ক্ষমতা হারাবেন। প্রথমে ১১ ই মে ইউনূস রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে বলেন সেনাপ্রধান ঠিক ঠিক কাজ করতে পারছেন না, তাই তাকে সরিয়ে দিতে হবে। ইউনূসের ফাঁদে পা না দিয়ে রাষ্ট্রপতি চুপ্পু খবর পাঠান সেনাপ্রধানের কাছে।
সেনাবাহীনির তিন প্রধান দেখা করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে । এবং বলেন এই মহুর্তে দেশের ১৮ কোটি মানুষের এক মাত্র ভরসাস্থল হল সেনাবাহীনি এবং সেনাপ্রধান, তাই সেনাপ্রধানকে কোন মতেই সরিয়ে দেওয়া যাবে না। মিটিং শেষ করেই ঢাকার ৪৬ বিগ্রেড কে তৈরী থাকার নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান। এবং তাদেরকে যে কোন সময় ফুল এক্সেন নিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেনাপ্র্ধনের বিরুদ্ধে কু করার যিনি মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জেনারেল কামরুল হাসান, তাকেও সাসপেন্ড করা হয়।উল্লেখ্য এই সময় ওয়াকারের আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাকে নিয়ে সেনার মধ্যে যে কু করার চক্রান্ত হচ্ছে বুঝে গিয়ে, তিনি দেশেই থেকে যান। কারন দেশের বাইরে থাকলে তার বিরুদ্ধে কু করা সহজ হয়ে যেতে। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার দায়ে লেফ্টন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসানকে সাসপেন্ড করেন সেনাপ্রধান। সেই সঙ্গে নজর বন্দিও করা হয়।আপাতত কু ঠেকানো গেলেও, ২৪ দিন পর সংবিধান বাতিল হয়ে গেলে সেনাপ্রধানের কি হবে তাই নিয়ে মত জানিয়েছেন সে দেশের শুভাকাঙ্খী মানুষেরা।
এখানে বলে রাখা ভালো, ভারত বিরোধী সমস্ত কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যে দু-জন সব সময় বিরোধীতা করবেন তারা হলেন রাষ্ট্রপতি এবং সেনাপ্রধান। আর সেনা প্রধান ছিলেন সমস্ত রাজানৈতিক দলগুলিকে নিয়ে ভোট করার পক্ষ্যে। এবং ওয়াকার চেয়েছিলেন দ্রুত ভোট করাতে। কিন্তু ইউনূস বাহীনি কখনই ভোটের পক্ষ্যে ছিলনা, তাই তাদের পথের বাঁধা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকেই উফড়ে ফেলে দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে চাইছেন ইউনূস। তিনি যে কতটা মিথ্যেবাদী এবং ক্ষমতা লোভী জঙ্গী তার প্রমান হল, বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে বলেছেন তিনি নাকি দূর্নীতির দায়ে দেশ ছাড়া, অথচ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ডিপ্লোম্যেটিক পাসপোর্ট বলছে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে। যারা ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বোঝেন তারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। এছাড়া কর ফাঁকি দিয়েছেন ইউনূস।আর কর ফাঁকি দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রাজস্ব বোর্ড মামলা করে তার বিরুদ্ধে। ইউনূস সেই বোর্ডকেই বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। নিজের দোষ ঢাকার জন্য।
এখন বড় প্রশ্ন কি করবেন সেনাপ্রধান, তার পক্ষ্যে কি তার সব সেনারা আছেন। তথ্য বলছে এয়ার ফোর্স তার পক্ষ্যে নেই, অর্থাৎ হাসান মামুদ খান তার পক্ষ্যে নেই যিনি বিমান বাহীনির প্রধান। এই হাসান মামুদ খানের নির্দেশে ভারতীয় সীমানায় ড্রোন উড়ানো হয়। যার বিরোধী ছিলেন সেনাপ্রধান। এখন ভারতীয় সেনার মহড়া চলছে চিকেন নেকের কাছে। সেনাপ্রধান যদি সাহায্য চান কি করবে ভারত। সেনাপ্রধানের হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় মাত্র ২৪ দিন। আর ভারতের এই সেনা মহড়ার সময়ে আবার কলকাতা দখলের হুমকি জামাত জঙ্গীর। ভারত কি আক্রমন করবে বাংলাদেশকে। নাকি এখন অপেক্ষা করবে সঠিক সময়ের জন্য। নাকি চিকেন নেকে যুদ্ধ মহড়াকে যুদ্ধে পরিনত করবে ভারত। ভারতের হাতেও সময় ২৬ দিন।এক্ষেত্রে ভারতকে বুঝতে হবে ভারতের একদিকে পাকিস্তান নেই, পাকিস্তান এখন ভারতের দুই দিকে।বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ নেই।
Discussion about this post