সদ্য রাশিয়া সফর সেরে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার উজ জামান। আর সেনাপ্রধানের সফরকালে তার অবর্তমানে সেদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস যেমন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা রকম নেতিবাচক পরিকল্পনা করেছিলেন, তেমনই এবার দেশে ফিরতেই এবার সেনাপ্রধান তিনিও যে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করেছে তিনটি রুশ জাহাজ। কিন্তু হঠাৎ কেন বাংলাদেশে এই রুশ যুদ্ধ জাহাজ? তবে কী এটি সেনাপ্রধানের রাশিয়া সফরের ফল?
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে রুশ নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ । ১৩ এপ্রিল যুদ্ধজাহাজ গুলি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। জাহাজ তিনটির কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এই রুশ যুদ্ধ জাহাজগুলি বাংলাদেশের ঢাকা বন্দরে প্রবেশ করতেই শুরু হয়েছে জল্পনা কল্পনা। ১২ই এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোষ্টের মাধ্যমে জানানো হয়, সফরকালে সেনাপ্রধান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান, ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এবং ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। অনেকেই মনে করছেন, সে দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। আর তিনি দেশে ফিরতেই দেখা গেল চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে রাশিয়ান নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আবার দেশে ফিরেই কট্টরপন্থীদের উদ্দেশেই যেন কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান। অর্থাৎ পরপর ঘটনাগুলিকে সাজালে সবগুলিকেই সেনাপ্রধানের নতুন পরিকল্পনা বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যুদ্ধজাহাজ গুলির অবস্থানকালে সফরকারী জাহাজগুলোর অধিনায়ক, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, বিএন ফ্লিটের কমান্ডার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অর্থাৎ, শুভেচ্ছা সফরের মাধ্যমে দুই দেশের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের পেশাগত বিষয়ে মতবিনিময়, ভবিষ্যৎ প্রশিক্ষণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আশা করা যায়। শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজসমূহ আগামী ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ত্যাগ করবে বলে সূত্রের খবর।
Discussion about this post