মোহম্মদ ইউনূসের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যার ফলে মহা বিপদে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ। ভারত থেকে স্থল পথে সুতো আনা যাবে না। ভারতের বিপক্ষে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউনূসের তরফে। ইতিমধ্যেই ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করেছিল। সেই চুক্তি বাতিলের গেরতে পড়ে এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তের ফলে তারই নিজের দেশে একাধিক বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ক্ষোভে ফুঁসছে। শুধু তাই নয়, একাধিক জায়গায় বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এমনকি তাদের বিপুল ক্ষতির দায় কে নেবে, প্রশ্ন তুলছেন তারা।
যখন ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল, তখন মহা সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশের বহু ব্যবসায়ী। অনেকে বলছেন, অন্তত বাংলাদেশ তাদের নিজেদের দেশে বস্ত্র শিল্প বাঁচিয়ে রেখে নিজেদের দেশে জিডিপিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারত। বাংলাদেশের বস্ত্র সাধারণত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেত। আর এটার জন্য ভারতের মাটিকে তারা ব্যবহার করেছে। সব থেকে বেশি বাংলাদেশ থেকে বস্ত্র যায় স্পেনে। এইবার স্পেন এবং ইতালিতে তারা কিভাবে বস্ত্র পাঠাবে সেই নিয়ে মহা বিপদে পড়েছে তারা। এর মধ্যে বস্ত্র শিল্পের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন সুতো। সেই সুতো এখন কোথা থেকে আনবে, সেটাও এখন বড় সমস্যা। এখন শোনা যাচ্ছে, ভারত থেকে স্থল পথে সুতো আনা বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ভারত থেকে স্থলপথে সুতা ছাড়াও আরও বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস। এটাতে সমস্যায় পড়তে চলেছে তারা।
তবে বাংলাদেশে বস্ত্র শিল্পীরা কেন ক্ষোভে ফুঁসছে? জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে যত সুতো প্রয়োজন তার ৯৫ শতাংশ সুতো ভারত থেকে আমদানি করত বাংলাদেশ। প্রায় ১০০ শতাংশ তারা ভারতের উপর নির্ভর ছিল। এর বড় কারণ, ভারতে সুতর দাম অনেক কম। যে দাম গোটা বিশ্বের কোনও দেশে এই দামে সুতো দিতে পারবে না। ২০২৪ সালে ভারত থেকে তারা সুতো নিয়েছে, ১২ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। যা ২০২৩ সালের থেকে ৩১ শতাংশ – এর থেকে বেশী। কিন্তু এখন সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ভারতকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে বাংলাদেশ নিজেই ফাঁদে পরে গিয়েছে।
Discussion about this post