মুখোমুখি ইউনুস- ওয়াকার! বাংলাদেশ জুড়ে এখন প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধান সংঘাত চর্চার শিরোনামে। এবার তাদের মধ্যেই সম্পন্ন হলো একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। এই বৈঠকের পর থেকে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা, এই বৈঠকে কি কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?কোন বিষয়গুলিতে গুরুত্ব আরোপ করা হলো? এবং সর্বোপরি কাদের উপস্থিতিতে এই বৈঠক? উঠে এল একাধিক প্রশ্ন।
দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্ট করেন যে, এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীসহ সারা দেশে স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি এই বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ বাহিনীর অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা যোগ দেন বলে নিশ্চিত করেন প্রধান উপদেষ্টার সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি, রাজধানী ঢাকার রাস্তায় যে বিক্ষোভ সংঘর্ষ প্রতিনিয়ত চলছে তা ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার সেখানেই দেশের তিন বাহিনীর তৎপরতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।এছাড়া বড় বড় বিভিন্ন ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর নেওয়া প্রচেষ্টার প্রশংসাও উঠে আসে ইউনুসের বক্তব্যে।
এর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানবিক করিডোর প্রসঙ্গে এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা সেই নিয়ম নানারকম অভিমত তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। মনে করা হচ্ছে যেহেতু এই বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে সেহেতু খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তুলে ধরেছেন বা দেশে মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নয়া সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি এই করিডোর প্রসঙ্গে এই উচ্চপর্যয়ের বৈঠকে কোন আলোচনা করার পরিকল্পনা না থাকতো তবে এই বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা কে আমন্ত্রণ জানানো হতো না। কারণ নিরাপত্তা উপদেষ্টা আবার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেসেন্টেটিভ হিসেবেও কাজ করছেন সে দেশে।
সেই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে কতটা সহায়তা পাওয়া সম্ভব দেশের স্বার্থে এই ধরনের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে এই উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post