বাংলাদেশের অরাজকতার পরিস্থিতিতে একটা বিষয় একেবারে স্পষ্ট। তা হল পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে শত্রুতার পরিচয় দিচ্ছে পদ্মাপাড়ের দেশ। বাংলাদেশে লাগাতার হয়ে চলছে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। যা নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এমনকি আন্তর্জাতিক মহলেও এই নিয়ে বহু মন্তব্য উড়ে আসছে। এমনকি চুপ করে থাকেনি আমেরিকা এবং ব্রিটেনও। জানা যাচ্ছে, আমেরিকা তার বিমান F-16 কেনার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে। এর ফলে ভারত এবং আমেরিকার উন্নত সম্পর্ককেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
যত দিন যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। আমেরিকার সঙ্গে এফ-১৬ চুক্তি না হাওয়াতে চিনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘুদের উপর প্রবলভাবে অত্যাচার। সেই ঘটনার রাশ না টেনে ঠিক এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বায়ু সেনার নৌবহর সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য নাকি চিনের সঙ্গে বড় ধরণের একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের এয়ার চিফ মার্শাল হাস মাহমুদ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ নাকি চিনের থেকে যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবচ্ছে। তার মধ্যে থাকবে অ্যাটাক হেলিকপ্টারও। এরমধ্যেই বাংলাদেশকে এফ-১৬ দিতে প্রায় অস্বীকার করেছে আমেরিকা। কারণ এই বিষয়ে আমেরিকাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যে বাংলাদেশ কেন এত উন্নত ধরণের যুদ্ধবিমান চাইছে?
আমেরিকার কাছে এই ধরণের মনোভাব বুঝতে পেরে চিনের কাছে শরণাপন্ন হয়েছে। চিনের থেকে J-10C মাল্টিরোল ফাইটার জেট কেনার কথা ভাবচ্ছে। এমনকি জানা যাচ্ছে, বামলাদেশের বায়ু সেনার পুরোনো F-7MB বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য 16 J-10C বিমান কিনতে সক্ষম হবে। প্রতিষ্থাপনের জন্য আরও একটি কেনার কথা ভাবচ্ছে তারা।
এখন বর্তমান বাংলাদেশের কাছে রয়েছে পুরনো মিগ-২৯ এবং এফ-৭ যুদ্ধবিমান। এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ এবং চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চিনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করলে বাংলাদেশও পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল মতো দেশগুলি চিনের অর্থনৈতিক জালে পা দিতে পারে। চিনের এই কৌশলে ভারতকে চাপ দিতে পারে। তবে এমন পরিস্থিতি ভারতও প্রস্তুত রয়েছে। ভারতের বায়ু ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সুবিধা রয়েছে। এমনকি সামরিক শক্তি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ভারতের মাটিতেও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছেয রয়েছে একাধিক আধুনিক যুদ্ধ বিমান। এমনকি শক্তিশালী এবং আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও রয়েছে।
তবে প্রশ্ন এখন একটাই, বাংলাদেশ তার নিজের নিজের ভিতরের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। অথচ, যুদ্ধের জন্য রণতরী সাজাচ্ছে। একাধিক দেশ থেকে যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র কেনার কথা ভাবচ্ছে দেশটি। তবে কি বাংলাদেশ এই পরিস্থিতিতেই যুদ্ধ করতে চাইছে তারা?
Discussion about this post