হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনুস ছাত্র নেতা হয়ে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ালে তিনি ব্যাপক জনসমর্থন পেতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লোভ তাকে অন্ধ করে দিতে থাকে। ফলে ইউনুস ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকার জন্য যা ইচ্ছা করতে থাকলে বাংলাদেশের জনগণ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন। মুখ ফেরাননি শুধু তার মতো তার ভারত বিরোধী সমর্থকেরা। ক্ষমতা হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে ইউনূসের কাল ঘাম ছুঁটে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম উড়ে যেতে শুরু করে। এর ফল স্বরূপ তিনি পাকিস্তানের ভরসায় ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। ইউনূসের ধারণা, তার ক্ষমতায় টিকে থাকার মূল বাধা ভারত। ভারত চায় না ইউনুস ইউনুস বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুক। তার হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে ভারতই। অন্ধ রাগের বশবর্তী হয়ে ইউনুস যেমন নিজের দেশের ক্ষতি করছেন সাথে ভারতের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন গুলিতে ভিসা পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে যেতে পারবেন না। কূটনীতিতে এটিকে চরম পদক্ষেপ বলা হয়। কারণ, একটা দেশ তখনি এধরণের সিদ্ধান্ত নেয় যখন তারা মনে করে বিপরীত দেশটির সাথে সম্পর্ক এমন পর্যায়ের তলানিতে ঠেকেছে যা ঠিক হওয়া দুস্কর। এই পদক্ষেপের কয়েক ঘন্টা পরেই চরম ভারত বিদ্বেষী ইউনূসের বিদেশ মন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে সরাসরি তলব করেন। ভারতীয় হাই কমিশনারকে কড়া প্রশ্ন করা হতে পারে। যদিও এসবে ভারতের মতো শক্তিধর দেশের ১ % ও কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু তবুও ইউনুস তার কঠোরপন্থী সমর্থকদের মন জয় করার জন্য এবং নিজের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ও নিজেকে শক্তিশালী প্রমান করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছেন।
আপনারা ইতিমধ্যেই জানেন, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার জন্য ইউনুস একের পর এক লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কারণ তার কাছে এইটা স্পষ্ট যে নির্বাচন হলেই তার ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। ক্ষমতার গদির মায়া তাকে ছাড়তে হবে। তাই উনি চাইছেন কঠোরপন্থীদের লেলিয়ে দিয়ে ভারতের নাম জড়িয়ে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করতে।
ইউনুস জানেন নির্বাচন হলেই তাকে ক্ষমতা থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে হবে। তাই তিনি কঠোরপন্থাকে অবলম্বন করে, ভারত বিরোধিতা করে নিজের গদি বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছেন। ইউনুস এখন চাইছেন ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক। যাতে সে আন্তর্জাতিক স্তরে দেখাতে পারে ভারত বাংলাদেশের শত্রু। ভারত ভালো চায় না বাংলাদেশের। তাই তিনি ফাঁদ পেতে একের পর এক ভারত বিরোধী কার্যকলাপ ও ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে চলেছেন। ইতিহাস বলে, যে নেতা নির্বাচনকে ভয় পায় সে আসলে জনগণকেই ভয় পায়। সংযম যারা রাখতে জানে শেষ হাসিটা তারাই হাসে।












Discussion about this post