একের পর এক বিপদজনক খবর ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, মানবিক করিডোরের নামে সে দেশের একটি অংশে যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে। আর সেই যুদ্ধের দুই প্রতিপক্ষ সেনাপ্রধান ওয়াকার ও প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস। অর্থাৎ যে সেনাপ্রধানের কাঁধে ভর করেই অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় এসেছেন মোহাম্মদ ইউনুস, এখন সেই সেনাপ্রধানকেই সরিয়ে দিতে উদ্যত প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু দেশের এই ক্রান্তিকালে সেনাপ্রধানও কি ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে পিছু হটবেন নাকি ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করবেন তিনি? চলছে নানাবিধ আলোচনা সমালোচনা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের মানবিক করিডর প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার অবস্থানে অটল।১৯ মে ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে মানবিক করিডরের গুরুত্ব সম্পর্কে তাকে বোঝানোর শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা চালানো হয়, বলে সূত্রের খবর।
আর এই বৈঠকের একদিন আগেই প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক উপদেষ্টার খলিলুর রহমান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল কামরুল হাসান তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের মাধ্যমে জেনারেল জামানকে মানবিক করিডরের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বোঝানোর পরিকল্পনা করেন।
এরপর ২০ মে ঢাকার সেনাপ্রাঙ্গণে জেনারেল জামান ঢাকায় উপস্থিত সকল সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার ঘোষণা করা হয় সেনাবাহিনীর তরফে। সেনাবাহিনীর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের যুদ্ধের পোশাক পড়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে ইউনূসের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট প্রধান ওয়াকার উজ জামান। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই জরুরি বৈঠক ডেকেছেন সেনাপ্রধান । জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকের মাধ্যমে তিনি দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে রাখতে চান। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দাবি করছে , সেনাপ্রধান চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন ঘোষণা করুক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই রিপোর্ট আরও বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে হয়ে ইউনুসের শাসন শুরু হতেই বিভিন্ন পরাশক্তির আধিপত্য বেড়েছে দেশজুড়ে।
যা একেবারেই ভাল চোখে নিচ্ছেন না সেনাপ্রধান। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে, ইউনূসকে যে বিদেশি শক্তিগুলি হাতের পুতুল বানিয়েছে তা বুঝতে পেরেছেন সেনাপ্রধান । আর সেজন্যই হঠাৎই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈরির পরিকল্পনার পাশাপাশি দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশ যেভাবে চিনের কাছাকাছি এসেছে তাতে বাংলাদেশের বাণিজ্যে চীনের আধিপত্য অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছে। ফলে ইউনূসের শাসনকালে বিদেশিদের আধিপত্য কমাতে চাইছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার । বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান চাইছেন দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে, সেই সাথে বিদেশি শক্তিরা যাতে দেশে ক্ষমতা দেখাতে না পারে তার ব্যবস্থাও করে রাখতে।
এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ইউনূসের আমেরিকা ও চিন প্রীতির মাঝে রাশিয়ায় গিয়ে সে দেশের উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সেনা প্রধানদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক সেরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান । আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ইউনূসের ক্ষমতা শেষ হওয়ার দিন গুনতে শুরু করেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
তবে কি বাংলাদেশের ক্ষমতা চলে যেতে পারে সেনাবাহিনীর হাতে? এখানেই কি তাহলে ইউনূস জামানা শেষ?
Discussion about this post