এই মহুর্তে বাংলাদেশ আরাকান আর্মির হাত থেকে নিজেদের জমি রক্ষা করতে না পারলেও, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য লাফিয়ে উঠেছে। আর বাংলাদেশ সামনে থেকে যাদের সাহায্য পাচ্ছে, বা যাদের দেখা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে পাকিস্তানকেই এই মহূর্তে সবাই দেখতে পাচ্ছে, যে দেশ এগিয়ে এসেছে সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য সব রকম সাহায্য করার অঙ্গিকার নিয়ে। বাংলাদেশের অবস্থায় পরে আসি আগে দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের এই মহুর্তে সার্বিক অবস্থা কি। পাকিস্তানের সীমান্তে আফগান সেনা হাজির, যাদের প্রতিহত করার সাহস বা ক্ষতমা কোনটাই নেই পাকিস্তানের। এক বছর আগেও যারা এক কিলো আটার জন্য রাস্তায় মারামারি করে মরেছে। সেই পাকিস্তান চাইছে চীন থেকে চল্লিশটি পঞ্চম পিড়ির, জে ৩৫ যুদ্ধ বিমান কিনতে। কিন্তু প্রশ্ন হল চীন কি শুধু শুধুই পাকিস্তানকে জে ৩৫ যুদ্ধ বিমান দেবে, নিশ্চয় তার পরিবর্তে চীন, আরও কিছু না কিছু নেবেই, যেমন কোন পোর্ট বা বন্দর। আর চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব যত বেশী বাড়বে ততই আমেরিকা পাকিস্তানকে তাদের শত্রু মনে করবে। এখনই আমেরিকা পাকিস্তানের মিসাইল তৈরির কোম্পানিগুলিতে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করেছে। যদিও পাকিস্তান জানে এশিয়াতে নিজেদের কন্ট্রোল রাখতে হলে পাকিস্তানকে হাতে রাখতেই হবে। পাকিস্তানও তার সূযোগ নেবে। কিন্তু আমেরিকা কি চাইবে পাকিস্তানে চীনের অধিপত্য বিস্তার লাভ করুক। পাকিস্তান থেকে জাহাজ ঢুকছে বাংলাদেশে, শোনা যাচ্ছে এবার পাকিস্তানের সেনাও ঢুকবে। সেই সেনা – যারা বাংলাদেশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। শুধু কি পুরুষদের হত্যা, তারা মহিলা থেকে শুরু করে নাবালিকাদের সঙ্গে পর্যন্ত কি অত্যাচার করেছে, তা কি ভুলে যাবে বাংলাদেশ, শুধুমাত্র ভারতের সঙ্গে বিদ্বেষের কারণে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান ছাত্র নেতারা যা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ না বলে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ বলবে। ছাত্রনেতারা সর্বসমক্ষ্যে বলছে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ ভুল ছিল, ভারত পাকিস্তানকে ভাগ করার জন্য বাংলাদেশ বানিয়েছে, তারা নিজেদেরকে ছাত্র বলে কিভাবে তা বোধগম্য নয়, বাংলাদেশের নাগরিকদেরই।এখন অনেক বাংলাদেশি নাগরিক মনে করেন এরা পাকিস্তানের চর। এখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের হাত ধরে নিজেদেরকে পাকিস্তানের দিকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যাদের না আছে খাবার না আছে শিক্ষা বা স্বাস্থ্য উন্নতির পরিকাঠামো। এখন বাংলাদেশে খাদ্য সঙ্কট এবং আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার কারণে বাংলাদেশে চাল ডাল আলু পেঁয়াজ সব কিছুর দামই আকাশ ছোঁয়া। বাংলাদেশের এক মাত্র শিল্প ছিল গারমেন্টস তৈরির কারখানা, সেগুলিও রুগ্ন হতে বসেছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বা গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সারা পৃথিবীতে চিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত ইন্টারন্যাশানাল ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে পোশাক তৈরি করায়। পরে এসব পোশাক সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। এই অস্থির পরিস্থিতিতে সেই শিল্পক্ষেত্রটিই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সংখ্যালঘুদের উপর বাড়তে থাকা আক্রমণ, শিল্পের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে চলেছে, যার জেরে বেশ কয়েকটি কোম্পানি এখন বন্ধ হওযার পথে।উল্লেখ্য, সেদেশে চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে ব্র্যান্ডের ব্যবসা গুলিতে। অনেকেই এখন তাদের চাহিদা মেটাতে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কমাতে,ভারতীয় নির্মাতাদের দিকে ঝোকার চেষ্টা চালাচ্ছে ।গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের জিডিপি-র একটা বড় অংশ তা সকলেই জানি। বাংলাদেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী এই পোশাক শিল্প, যা ২০২৪ সালের হিসাবে ১১ শতাংশ। এবং আয়ের আনুমানিক ৮০ শতাংশ আসে রফতানি থেকে। তবে পোশাক শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হলে, যা দেশকে ভারী ঋণ নিতে বাধ্য করবে। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পতনের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। এখন পাকিস্তানের সাধারণ জনগন বাংলাদেশিদের বলছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক না করলে, বাংলাদেশের অবস্থাও খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের থেকেও খারাপ হবে। এর মাঝে আরাকান সেনাদের বাংলাদেশ সিমান্তে আধিপত্য বিস্তার এবং সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। যা বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেই আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে।
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার পতন যে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কোনও বিষয় না, এটা এখন দিনের আলোর মতোই পরিস্কার। এই পুরো...
Read more
Discussion about this post