২০ জানুয়ারি নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ! আগামী বছর ওই দিন শপথ নিয়ে মার্কিন মসনদে বসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই ওপারের ধমকি হুমকি উধাও । ভারতের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করলেও সেই ভারতের কাছেই সাহায্যে হাত পাততে হল ইউনুসকে। Raw নিয়ে আতঙ্কও দানা বাঁধছে ইউনুস প্রশাসনের অন্দরে। তবে হিংসা ব্যাহত হলনা ভারতের পর রাশিয়কে চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তরবর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই কার্যত প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নিজেদের দেশের ইতিহাস ভুলে,বন্ধু দেশ ভারতের সাহায্য অস্বীকার করে প্রতিনিয়ত ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে সেদেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের।
তাঁদের এমনও দাবি ছিল ভারতের প্রয়োজন ছাড়াই সমস্ত খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনেও সক্ষম তারা। কিন্তু কিছুমাস গড়াতেই সব ঝাঁজ উধাও বাংলাদেশের । পেটে টান পড়তেই সেই ভারতের শরণাপন্ন হতে হল ইউনুস সরকারকে। তবে ভারত পড়শি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখে সাহায্য পাঠানোর বন্দোবস্ত করছে।
গত ১১ ই নভেম্বর ৩৮১ নম্বর চুক্তির আওতায় ইউনূস সরকারের আমলে প্রথম বৃহস্পতিবার ভারত থেকে চাল আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
কয়েক বছরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ, চাল, ডাল, আলু, রসুন ও অন্যান্য সব পণ্যের দাম বেড়েছে ১৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। যা সে দেশের মানুষের আয়ের তুলনায় অনেক বেশি। অন্তর্বর্তী সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিলেও ফল মেলেনি। তাই ফের ভারতের কাছেই হাত পাততে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এই আবহে বাংলাদেশে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা RAW এর আতঙ্ক অব্যহত। সেদেশের মৌলবাদী কট্টরপন্থীরা প্রতিটি বড় ঘটনা ও দুর্ঘটনার পেছনে RAW-এর কার্যকারীতাকেই সন্দেহ করছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা, মেঘনা নদীতে একটি জাহাজে ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছুটি নিয়ে বিবাদ থেকেই খুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু বাংলাদেশি কট্টরপন্থীরা তা মানতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, ইরফানের প্রকৃত নাম আকাশ মণ্ডল, সে একজন অমুসলিম ব্যক্তি ।অর্থাৎ ইসলামিক ছদ্মবেশে সে একজন RAW এর এজেন্ট হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
বিশেষ উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস আগেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বৈঠকের জন্য বাংলাদেশে পা রেখেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি সে দেশের বিদেশ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রবল ভারত বিদ্বেষ উপেক্ষা করেই ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা জানিয়েছে ভারত । কিন্তু বাংলাদেশ তার যোগ্য নয় তা ফের একবার টের পাওয়া গেল। সম্প্রতি ভারতের বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি । চলতি বছরে বৈঠক বাতিল করে দেওয়ার ফলে লজ্জায় বিএসএফের মুখোমুখি হচ্ছে না ওপার বাংলার সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবি।
এবার সামনে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্য। ভারতকে হুমকি দেওয়ার পর এবার বাংলাদেশ রাশিয়াকেও বিতর্ক থেকে ব্রাত্য রাখছেনা। এই প্রেক্ষিতে রাশিয়া এবং ভারত একত্র সারাশির চাপে পড়তে হল বাংলাদেশকে।
একদিকে যেমন রাশিয়া কঠোরভাবে বাংলাদেশকে ধুয়ে দিয়েছে, অন্যদিকে ভারত কূটনৈতিক নীরবতায় বাংলাদেশকে চাপে ফেলেছে।
কারণ, রাশিয়া বাংলাদেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেছে। এই প্রকল্পে কিছু ভারতীয় সংস্থাও যুক্ত। রাশিয়া এবং ভারতের সহযোগিতায় শেখ হাসিনা এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পে দ্রুত কাজ চলছিল, কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর প্রকল্পটি অসম্পূর্ণই রয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এখনও এর কোনো উত্তর দেয়নি। আর ভারত উত্তর দেবেই বা কেন? মোহাম্মদ ইউনুস সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়।শুধু বাংলাদেশে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা হয়েছে।তাই তিনি এই এক্তিয়ারের মধ্যে পড়েনা। ভারত সরকার ইউনুসকে উত্তর দিতেও বাধ্য নয়।
Discussion about this post