২০২৫ সালের জানুয়ারিতেই ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মুহম্মুদ ইউনূসের বিপদ ঘনিয়ে আসছে। এমনটাই মন্তব্য উঠে আসছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইউনূসের সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা তৈরি হয়। তাই নতুন করে ক্ষমতায় এসে নতুন করে পুরোনো শত্রুতা বেড়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।
একদিকে বাংলাদেশের জেলে আটক হয়ে রয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। যা নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি পদ্মাপাড়ের দেশে। তবে হিন্দু সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশে, আমেরিকান গ্রুপের সদস্যরা। তাই বলাই যায়, পুরনো শত্রু নতুনভাবে বেড়ে উঠেছে। ইউনূসকে খাঁচায় ফেলতে প্রস্তুত ট্রাম্প। আর এখানেই মোদীর ইন্ধনের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ প্রত্যেকেই জানে, মোদীর সঙ্গে চ্রাম্পের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। এদিকে বাংলাদেশের সিংহাসনে যবে থেকে ইউনূস বসেছেন, তবে থেকেি বারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপের দিকে এগিয়েছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারিতে উত্তাল হয়েছে যেমন ওপার বাংলা। তেমনই এপার বাংলাতেও আঁচ এসে পড়েছে। ভারত, বাংলাদেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে পড়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দুই দেশের পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও অত্যন্ত সজাগ ভারত। তারা বাংলাদেশের এমন মন্তব্যে কোনও ভুল পদক্ষেপ করবে না তা বলাই যায়। আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, অন্তত সে দেশে শান্তির বার্তা পাঠাক ভারত। যদিও এপার বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জাতিসংঘের হস্তক্ষে করা উচিত। তিনি আরও জানান, এতে সে দেশে শান্তি ফিরতে পারে। তাতে উপকৃত হবে ভারত। কারণ, বাংলাদেশের অশান্তির জন্য ভারত সবথেকে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। এর জেরে ভারতে আমদানি, রফতানিতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও জানিয়েছিলেন, দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনেই চলব। তবে কেন্দ্রের কাছে আবেদন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের তরফে শান্তির বার্তা পাঠানো হোক।
এরমধ্যেই বাংলাদেশে পার হয়ে গিচয়েছে অনেকগুলি দিন। সেদেশে নির্বাচন নিয়ে একাধিক বিষয় উঠে আসছে। অভিযোগ উঠছে, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছে ইউনূস। পাশাপাশি অনেকে সেখানে, দেশের সংবিধান বদলের দাবি তুলছেন। অর্থাৎ, গোটা দেশটিতে যে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে তাতে খুব সহজে যে লাগাম টানা যাবে না। তা কার্যত বলা যায়। এরমধ্যে ভারতের ইন্ধন দেখছে অনেকে। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের লাগাম টানতে ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করুক। এর জেরে খানিকটা আয়ত্তে ফিরবে গোটা দেশ।
কারণ বাংলাদেশে অশান্তির পাশাপাশি অভ্যান্তরীণ কিছু বিষয় রয়েছে। যেমন দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। তারমধ্যে হাজির হয়েছে আরাকান আর্মি। যা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম দখলের কথা বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রামের বেশ কিছুটা অংশ আরাকানদের দখলে চলে গিয়েছে। আর এই সমস্ত কিছু ঠিক করতে ট্রাম্পের উপরই ভরসা করছে বাংলাদেশে, আমেরিকান গ্রুপের সদস্যরা।
Discussion about this post