বাংলাদেশের যে কার্যকলাপ তাতে ভারতকে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এখানেই যে প্রশ্নটা সবথেকে বেশি করে উঠছে, সেটা হল ফের কি বড় কিছু ঘটতে চলেছে ঢাকায়? কারণ সামনে এসেছে রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে মোহাম্মদ ইউনূস এবং সেনাপ্রধানের মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক ওয়াকারের। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। ফের জরুরি একটি বৈঠকে ওয়াকার। তবে কি বাংলাদেশে সেনা শাসন জারি হতে চলেছে? উঠছে প্রশ্ন।
জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে সেনা সদরে সেখানে তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেন। এবং ৪০ জন সেনা অফিসার এবং ব্রিগেডিয়ার বিভিন্ন সেনা পদমর্যাদা উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, কি এমন ঘটল সে এত রাতে সেই বৈঠক ডাকতে হল? সূত্রের খবর, তিনি নাকি ও বৈঠকে বলেছেন, তিনি দেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। এবং তিনি বলেছেন, এই বছরের মধ্যেই তিনি নির্বাচন করাতে চলেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ কে বাদ দিয়ে নয়। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি শেখ হাসিনা স্বমহিমায় দেশে ফিরতে চলেছেন? পরের দিন আরও একটি বৈঠক হয় বলে জানা যায়। সেই বৈঠকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার এবং ট্রেসি এন্ড জেকাবসন ছিলেন বলে খবর। সেখানে মানবিক করিডোর নিয়ে সেনাপ্রধান কে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। এমনটাই খবর। তবে মানবিক করিডোর মানতে কেন নারাজ সেনাপ্রধান, সেই আলোচনা উঠতেই মনে করা হচ্ছে, এমন কিছু আশংকা তৈরি করা হচ্ছে, যেটা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে না। এর আগেও বিভিন্ন দেশে এই ফর্মুলায় মেনে ছিল মার্কিন প্রশাসন। আর তারপরই দেখা গিয়েছিল, পরবর্তীকালে সেই সমস্ত দেশকে নিয়ন্ত্রণ করে আমেরিকা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটতে পারে। এটা বোঝেন সেনাপ্রধান। এবং সেই কারণেই করিডোর দেওয়া নিয়ে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু খুব সহজেই বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকার সেগুলি মেনে নিচ্ছেন। সেটা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেনে নেননি। তিনি আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশের কাছে মাথা নত করেননি। অনেকে অবশ্য বলে থাকেন, তার পতন হওয়ার পিছনে এটা একটি অন্যতম কারণ।
এমনকি খবর হয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের সঙ্গে লেফটেন্ট জেনারেল কামরুল হাসানের একটি বৈঠক হয়েছে। আর এর মধ্যেই জেনারেল ওয়াকার আরো একটি সেনা নিবাসে বৈঠকে বসতে পারেন বলে খবর। আর সেখানেই একটি বড় ঘোষণা করতে পারেন সেনাপ্রধান। তবে কি সামরিক শাসন জারির কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি? কারণ দেশের অস্থির পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে তিনি হয়তো ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন। এবং সময়মতো নির্বাচন করিয়ে একটি সরকার এনে দেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারেন। তাই এই প্রশ্নটাই জোরালো হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের অন্দরে, কি ঘোষণা করতে চলেছেন সেনাপ্রধান?
Discussion about this post