আর জি কর ঘটনার পরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনার বিনীত গোয়েল কে। এর পরিবর্তে এই দায়িত্ব পালন করছেন আইপিএস মনোজ বর্মা।
পুজোর আগে পুজো কমিটিদের নিয়ে বৈঠক করার সময় অনেক কমিটি, মণ্ডপের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, পুজোর সময় যদি আন্দোলনকারীরা মন্ডপে ঢুকে পড়ে তাহলে কি হবে। কারণ অনেকেই উৎসবে নেই জানিয়েছে, অন্যদিকে আর জি কর ঘটনা স্থল রক্ষা করে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাই পুলিশের ভূমিকা বহাল রাখতে এবার কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা নয়া ৪ নির্দেশিকা জারি করলেন।
১. সাইবার ক্যাফে
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ জারি করা হয় প্রথম নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে সাধারণ মানুষ অতি সহজেই ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে থাকে। এর সাহায্যে দুষ্কৃতী বা জঙ্গিরা দেশবিরোধী কার্যকলাপ করতে পারে। তার জন্য যে সকল ব্যক্তিরা আসবে তাদের সঠিক পরিচয় পত্র দেখে, রেজিস্টারে সাইন করাতে হবে। এবং ছয় মাস ডাটা ব্যাকআপ রাখতে হবে।
২. বাড়ি ভাড়া ও পেয়িং গেস্ট
দ্বিতীয় নির্দেশিকা, বিভিন্ন শহরে অনেকেই বাড়ি ভাড়া অথবা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পেইন গেস্ট দিয়ে থাকেন। তবে তাদের সঠিক পরিচয় পত্র দেখে ও উদ্দেশ্য দেখে ভাড়া দিতে। এবং স্থানীয় থানায় সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে।
৩. ১৬৩ ধারা কিছু স্থানে
পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কিছু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর রয়েছে পুজোর সময় কিছু জায়গায় মিছিল অথবা আন্দোলন জমায়েত হতে পারে। তাই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা আইন বজায় রাখতে ১৬৩ ধারা থাকবে। ময়দান থানার অন্তর্গত কলকাতা প্রেসক্লাব, খিদিরপুর ক্লাব, বিধান মার্কেট, মেয়ো রোড এ পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। হেয়ার স্ট্রিট থানার অন্তর্গত ইন্ডিয়ান এক্সচেঞ্জ, শহীদ ক্ষুদিরাম বসু স্মরণে, রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, ডালহৌসি, ওল্ড কোট হাউস স্ট্রিট, স্ট্যান্ড রোড ও লালবাজার চত্বরেও একই নির্দেশ। নির্দেশিকা ২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
৪. পরিবেশ রক্ষা
পুজোর সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা রক্ষার ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার। এ নির্দেশিকায় বলা আছে শহরে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশ রক্ষার্থে বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ।
Discussion about this post