আড়িয়াদহে জয়ন্ত বাহিনীর অত্যাচারের ভিডিও পোস্ট করায় সমন। বেলঘরিয়া থানায় আজই তলব দুই ব্যক্তিকে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ওই ২ ব্যক্তি। আজ পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায় ও শুভম মণ্ডলকে আজই তলব করেছে বেলঘরিয়া থানা। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে পৃথ্বীরাজ ও শুভম। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ‘এই ধরনের ভিডিও কেন শেয়ার করেন’। এভাবেই তো হিংসা ছড়ায়, মন্তব্য বিচারপতির। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের ওই যুবক ও আরও এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টের সামনে বলেন, পুলিশ তাদের জরুরিভাবে বেলঘরিয়া থানায় হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছে। পুলিশ এফআইআর দায়ের করে গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। রক্ষাকবচ তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে সবচেয়ে শোরগোল ফেলেছিল আড়িয়াদহ কাণ্ড। এক বাড়ির সামনেই এক কলেজ ছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ ছিল পাড়ার ‘দাদাদের’ বিরুদ্ধে। তা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন মা। অভিযোগ, এরপর মা ছেলেকেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। প্রৌঢ়ার দাঁতও ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা সিসিটিভি বন্দি। মারধরের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসে জয়ন্ত সিং-এর কথা। তারপর প্রকাশ্যে আসতে থাকে একের পর এক ভিডিয়ো। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। জয়ন্ত সিংয়ের গ্রেফতারিতে দেরি, তাঁর আত্মসমর্পণেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এখন অবশ্য জয়ন্ত সিং ইস্যুতে অতি তৎপর পুলিশ। ভিডিয়ো দেখে, তাঁর শাকরেদদের শনাক্ত করে গ্রেফতারি চলছে। এদিকে এমন এক পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠ জয়ন্তের একের পর অত্যাচার ফাঁস হওয়ায় দায় এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। জয়ন্তর সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতার’ ছবি প্রকাশ্যে আসার পরেও ঘনিষ্ঠ নয় বলে দাবি মদনের।
Discussion about this post