গাড়ি চালাতে ভালোবাসেন? সে জন্য ভর্তিও হয়েছেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। শেখা হয়ে গেলেই শোরুমের পছন্দ করে আসা গাড়িটিকে নিজেই চালিয়ে নিয়ে আসবেন বাড়িতে, এ ইচ্ছা কার না থাকে। তবে গাড়ি কেনার পর সেটিকে রাস্তায় চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন সে কথা আমাদের সকলের জানা। আগে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে রাজ্য পরিবহন দফতরকে দিতে হত স্থায়ী বসবাসের বা ঠিকানার প্রমাণপত্র-সহ নির্ধারিত ৭ টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি। এবার ওই তালিকায় যুক্ত হল আরও চারটি নথি। ফলে এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে মোট ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি দাখিল করা যাবে। সম্প্রতি নয়া এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই নয়া নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে গত ২২ শে জুন থেকে।
রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে দিতে হত তপশিলি জাতি কিংবা উপজাতির সার্টিফিকেট, রাষ্ট্রায়ত্ত যে কোন ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স, বিদ্যুতের বিল, BSNL-এর টেলিফোনের মাসিক বিল, পুরসভা বা পুরনিগমের ট্যাক্সের বিল এবং আঁধার কার্ডের জেরক্স। শুধু তাই নয়, সঙ্গে দিতে হত কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থার কর্মীদের পরিচয় পত্রের জেরক্সও নথি হিসাবে ব্যবহার করা যেত। তবে এবার থেকে এই নথিগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। যা দরখাস্তের সময় জমা না দিলে, মিলবে না আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাই এবার থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরখাস্তের সময় পরিবহন দফতরকে দিতে ভোটার কার্ড, আঁধার কার্ড, পাসপোর্ট, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থার কর্মীদের পরিচয়পত্রের জেরক্স, রাজ্য-কেন্দ্র কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পিপিও, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য সরকারি সার্টিফিকেট, বিদ্যুৎ, জল, BSNL টেলিফোনের বিল, মোবাইলের পোস্ট পেড বিল, সম্পতি করের নথি, তপশিলি জাতি ও উপজাতির সার্টিফিকেট, রাষ্ট্রায়ত্ত যে কোন ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স এবং ট্রেড লাইসেন্স। এই নথিগুলি দিলে তবেই মিলবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স।
Discussion about this post