আড়িয়াদহে জয়ন্ত সিংয়ের ভিডিয়ো প্রকাশের ঘটনায় বিজেপি কর্মী পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায় ও শুভম মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আড়িয়াদহে মহিলার ওপর অত্যাচারের ছবি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করায় অভিযুক্ত পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায় ও শুভম মণ্ডলকে স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাদেরকে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠিয়েছিল বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেন, এই ধরনের ভিডিয়ো শেয়ার করেন কেন, এভাবেই তো হিংসা ছড়ায়। তবে তাঁর নির্দেশ, আপাতত আদালতের নির্দেশ ছাড়া গ্রেফতারের মতো কোন কড়া পদক্ষেপ নেবে না পুলিশ।
তবে আবেদনকারীকে পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। ইতিমধ্যেই ৪ সপ্তাহে পর হলফনামা জমা দেবে রাজ্য। সঙ্গে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তালিবানি কায়দায় মহিলাকে মারা হয়েছে আড়িয়াদহে। কে ওই ভিডিয়ো তুলেছেন? জানতে চান বিচারপতির। আইনজীবী বলেন, সেটা জানি না। তবে সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। রাত সাড়ে দশটায় ডেকে পাঠানো হয়। রাতে নোটিশ দিয়ে আজ আসতে বলা হয়। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, যারা মারছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু একদিনের মধ্যে সিভিক পুলিশকে পাঠিয়ে দিলেন? প্রশ্ন বিচারপতি অমৃতা সিনহার। শুধু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তদন্তের জন্য নয়। ফর্মাল নোটিস দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে এসে পৃথ্বীরাজ বলেন, পুলিশ গত বুধবার ১০টা নাগাদ তাঁকে ফোন করে জানায় থানার বড়বাবু দেখা করতে বলেছেন।
কিন্তু তিনি জানান, তাঁকে কোনও নোটিশ না দিলে তিনি থানায় যাবেন না । তারপর তাঁকে একটি নোটিশ দিয়ে গতকাল থানায় হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় । পৃথ্বীরাজের বক্তব্য, জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে ৯টি এফআইআর রয়েছে কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর থানায় । তা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । তিনি বিজেপির সদস্য বলেই তাঁকে পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ পৃথ্বীরাজের। উল্লেখ্য, আড়িয়াদহে মহিলার ওপর অত্যাচারের ছবি নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন দুই যুবক। তার জেরে বেলঘরিয়া থানায় পৃথ্বীরাজ মুখোপাধ্যায় ও শুভম মণ্ডলকে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দুজন।
Discussion about this post