চরম বিপাকে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালত অবমাননার দায়ে মামলা দায়ের করলেন এক আইনজীবী। আর এই আদালত অবমাননা মামলার নোটিশ, আইনজীবী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত, তিনি চাকরি হারা দের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর করা সুপ্রিম কোর্ট অবমাননাকারী মন্তব্যের বিরুদ্ধে গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিলেন। এস ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হওয়ার পর চাকরি হারাদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেন। আর সেই বৈঠকে তিনি সুপ্রিমকোর্টকে অবমাননা করে সুপ্রিম কোর্টের রায় কে রীতিমত প্রায় নস্যাৎ করে দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠকে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে ঠিক কি বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শুনুন
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে নস্যাৎ করার এই মন্তব্যের কিছু অংশ সুপ্রিম কোর্টে জমা করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাটি করেছেন। ইতিমধ্যেই আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত, এই মামলা সংক্রান্ত নোটিশ পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই নোটিসে আইনজীবী স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন, নিঃশর্তে ক্ষমা না চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এই নোটিশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যটি তুলে ধরে জানানো হয়েছে এ বক্তব্যটিতে শীর্ষ আদালতের অবমাননা হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় যেটা সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তা দ্রুততার সঙ্গে বলবত করার বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে ওই নোটিশে।
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করার পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা কুনাল ঘোষ। তিনি তার সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার মামলার বিষয়টি স্পষ্ট করেন।
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ তাঁর পোস্টে লিখেছেন – ‘SC-র রায়ের চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে চাকরিসুরক্ষার চেষ্টা করছেন, তাতে জটিলতা তৈরি করে প্রক্রিয়ার গতি কমানোর চক্রান্ত। চাকরিহারারা কী চান? মুখ্যমন্ত্রীর চেষ্টা সফল হোক, আপনাদের চাকরি বাঁচুক; নাকি এসব আইনি জট পাকানোর চক্রান্তকারীরা জটিলতা বাড়াক। অবস্থান নিন আপনারা।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘রামবাম ভোটে পারে না, কোর্টে জট পাকায়।’
অর্থাৎ, কুনাল ঘোষের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় ২০১৬ এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ২৬৭৫২ জন শিক্ষক। তাদের চাকরি ফেরাতেই মুখ্যমন্ত্রী নানা রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তার এই প্রচেষ্টা বৃত্তে দিতে চাইছেন রাম বা বামপন্থী নেতাকর্মীরা। সেই কারণেই আইনে জটিলতা দেখিয়ে এই প্রচেষ্টার গতিকে হ্রাস করার চেষ্টা করছে তারা। চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কুনালের প্রশ্ন তবে কি তারাও এটাই চাই?
Discussion about this post