নিজেদের শক্ত ঘাঁটি ভাঙ্গরে তৃণমূলের সঙ্গে মাটি কামড়ে লড়াই করেছে আইএসএফ। শেষ দফা নির্বাচনে আক্রান্তও হয়েছেন আইএসএফ। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভের চিত্র। দলীয় কর্মীদের মারধর, গাড়ি ভাঙ্গা। কিন্তু দলের প্রধান কোথায় ? শনিবার সারাদিনে একবারও আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে প্রকাশ্যে দাঁড়াতে দেখা গেল না নওশাদ সিদ্দিকীকে। রাত ১১ টা নাগাদ একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে সারাদিনের ঘটনা প্রবাহে কর্মীদের মনোভাবকে অভিনন্দন জানালেন আইএসএফ রাজ্য নেতৃত্ব। কেন এমন দায় সারা ভাব ? একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আইএসএফ চেয়ারম্যান জানান ” সেটিং তত্ত্ব বাংলার মানুষ আর খাবে না। এতদিন বলা হচ্ছিল বিজেপির সঙ্গে সেটিং, এখন বলা হচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং। আর তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং তো বেশি বলছেন বামপন্থী বন্ধুরা। এটা বাংলার মানুষ খাবে না। আমার অন্তত ৩০টি কর্মসূচি করতে দেয়নি তৃণমূল।
যদি সেটিং থাকত, সেগুলি তো আমি বের করে নিতাম। গত নির্বাচনের থেকে এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিন্তু যে অত্যাচার হয়েছে, তার একটি বড় অংশ আমাদের কর্মীদের উপর হয়েছে। আমার কর্মীদের মনোবল এতটা দুর্বল নয় যে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাইজানকে ছুটে আসতে হবে। আমাদের কর্মীরা ভাল করেই জানে, তাদের ভাইজান একজনই আছেন এবং তাঁকে গোটা রাজ্যে ছুটে বেরাতে হচ্ছে। আমি তো বেশ কটা দিন অত্যাচার, জেল, ভোট পরবর্তী হিংসা পার করে আসলাম। এখন তো যথেষ্ট ভাল জায়গায় আছি। সেই সময় আমার কাছে একাধিক এই ধরনের অফার ছিল। সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেছি। আর দুই আড়াই বছর বাকি। বাংলার মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করতে পারব না। আমার সম্পর্কে ভোটারদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করার অভিপ্রায়েই এসব করা হয়েছে। যাতে ভোটটা আমাদের দিকে না আসে, সেই চেষ্টা করা হয়েছে। এর জন্য তৃণমূল, বিজেপি আছে। এদিকে সিপিএমের বামপন্থীরা বন্ধুরা আছেন। হয়ত এদের চক্রান্ত হতে পারে। এসব ভিত্তিহীন কথা।”
Discussion about this post