আর জি কর হাসপাতাল ঘটনায় আবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ঘোষণা। সম্প্রতি তাদের সাথে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে তারা ১০ দফার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বৈঠক শেষে রাজ্যের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কমিশনার পরিবর্তনের। তবে দাবি অনুযায়ী স্বাস্থ্য সচিব কে অপসরণ করে নি রাজ্য সরকার। এই বিষয় মুখ্যমন্ত্রী একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, এভাবে সরিয়ে দিলে স্বাস্থ্য ভবন অচল হয়ে পড়বে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির শীর্ষে ছিল স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ।
পূজা আবহে আবার তারা ১০ দফার দাবি জানিয়ে রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ঘোষণা করলেন। এদিন দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার জিবি মিটিং এর পর এমনটাই সিদ্ধান্ত জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের দাবি।
১. দীর্ঘসূত্রিতায় বিভ্রান্ত না করে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে।
২. স্বাস্থ্যসচিবকে অবিলম্বে তারপর থেকে অপসারণ করতে হবে।
৩. শব্দক্ষেত্রের প্রশাসনিক অক্ষমতা ও দুর্নীতির দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নিতে হবে।
৪. রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্য়াল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা, ডিজিটাল বেড ভ্যাকান্সি মনিটর চালু করতে হবে।
৫. নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি ক্য়ামেরা,
অন কল রুম, বাথরুমের সঙ্গে হেল্পলাইন নম্বর, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. হাসপাতালগুলিতে পুলিশি সুরক্ষা বাড়ানো,
প্রতিটি মেডিক্য়াল কলেজে থ্রেট সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসিয়ে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। রাজ্য স্তরে তদন্ত কমিটি তৈরি করতে হবে।
৭.সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে স্থায়ী পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
৮.WBMC ও WBHRB-এর অভ্যন্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ আছে, তার সাপেক্ষে দ্রুত তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে সহ আরো দাবি নিয়ে এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টর ফ্রন্ট।
এর আগে তারা যখন কর্মবিরতিতে ছিলেন সেই সময় সিনিয়র ডাক্তাররা তাদের ঘাটতি পূরণ করেছেন। এমনিতেও হাসপাতালে সুচিকিৎসার অভাবের অভিযোগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উঠে আসে। এর পরে যদি আবারও কর্মবিরতিতে যায় জুনিয়র ডাক্তাররা, সে ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় গতিতে কিছু টা হলেও প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি সাধারণ গরিব মানুষরা সুচিকিৎসার জন্য এই সরকারি হাসপাতাল গুলিতেই পুরোপুরি নির্ভরশীল। তাই তাদের সুচিকিৎসা দিয়ে কাজ করে কিভাবে আন্দোলনকে আরো তীব্র করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এমনটাই অনেক চিকিৎসক মহলের বক্তব্য।
Discussion about this post