সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন মন্ত্রী পুত্রকে নিয়ে রীতিমত টানাটানি চলছে। আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রের ছেলে বোধিসত্ত্ব মহাপাত্রের। তবে এই ঘটনাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা বলছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন। অভিযোগ বিরোধীদের দিকে নয়। বরং তাঁর দলের একাংশের বিরুদ্ধে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, কাক কাকেরই মাংস খায় অর্থাৎ তাঁর দলেরই লেকজন যে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে সেটা সৌমেন মহাপাত্রের কথায় স্পষ্ট। নেতার দাবি দেশের নানা প্রান্ত থেকে তাঁর কাছে ফোন আসা শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই সত্যিটা জানতে চাইছেন। এই ঘটনায় তাঁর ছেলে বোধিসত্ত্বের জড়িয়ে থাকার বিষয়টিকে কার্যত উড়িয়ে দেন তমলুকের বিধায়ক।
জানান বিচার বিভাগীয় তদন্তে স্বার্থে তিনি বা তাঁর ছেলে অবশ্যই সাহায্য করবেন। একসময় তিনি মন্ত্রী ছিলেন। দলের অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন। সেই রাগে তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে সমাজমাধ্যমে। জানা গিয়েছে চিকিৎসক বোধিসত্ত্ব মহাপাত্র এমবিবিএস পাশ করেছেন ২০১৭ সালে। তিনি এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশপুড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবে আচমকা কেন নেতা পুত্রের নাম জড়াল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে খুনের ঘটনা তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক হাতিয়ার হল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। অনেকসময় সেই রিপোর্ট হাতে পেতে নিহতের পরিবারের লোকেরা সমস্যায় পড়েন। আর জি করে তরুণী চিকিৎসক খুনেও একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। চাপে পড়ে ধোঁয়াশাই কাটাতেই ভিডিয়োবার্তা দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সমাজমাধ্যমে একটি এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োর মধ্যেই রয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর।
Discussion about this post