রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত ১৯ জুন ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। পাঁচ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর থেকে বেরিয়ে অভিনেত্রীর দাবি, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর কাছে যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তা তদন্তকারীদের দিতেই তিনি এসেছেন। এবার সেই জিজ্ঞাসাবাদে দু’সপ্তাহের মধ্যে ৭০ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে চান ঋতুপর্ণা। মঙ্গলবার ইডি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের অপসারিত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে ঋতুপর্ণা টাকা নিয়েছিলেন বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতির প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ঋতুপর্ণার মাধ্যমে টলিপাড়ায় বিনিয়োগ হয়েছে। সেই টাকা ঋতুপর্ণা ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। তারপরেও ইডিকে কেন ৭০ লক্ষ টাকা ফেরানোর আবেদন তিনি জানালেন তা নিয়ে পশ্ন উঠছে। এব্যাপারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি আধিকারিক।
ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। ৫ জুন তাঁকে তলব করা হয়েছিল। যদিও সে দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি। মূলত বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়েওছিলেন। তবে ১৯ জুন ইডির দফতরে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে রোজভ্যালিকাণ্ডে তদন্তকারী সংস্থা ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। একসময় রোজভ্যালি বেশ কিছু বাংলা ছবি প্রযোজনা করেছিল। যে ছবির কয়েকটি অভিনয়ও করেছিলেন ঋতুপর্ণা। সেই সূত্রেই ঋতুপর্ণার সঙ্গে সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর যোগাযোগ হয়েছিল বলে ইডির তরফে সে সময় জানানো হয়েছিল।
Discussion about this post