দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থীর পরাজয়ের পর অমিত শায়ের সঙ্গে অনন্তর এই সাক্ষাৎ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কোচবিহার আসনে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে প্রচারে নামেননি অনন্ত মহারাজ। এমনকি বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থনে অনন্ত কোনও বার্তাও দেননি। তাঁর অনুগামীরা নিজের মতো করে ভোট দিয়েছেন।
ফলে কোচ রাজবংশী সমাজের ভোটের একটা বড় অংশ তৃণমূল পেয়েছে তা স্পষ্ট। পাশাপাশি, বিজেপি সম্পর্কে লাগাতার বেসুরো মন্তব্য করেছেন অনন্ত মহারাজ। ভোটের ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো তার বাড়িতে যান। সেই সাক্ষাতের পর অনন্ত মহারাজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও অনন্ত মহারাজ সম্পর্কে দলীয় স্তরে ক্ষোভ উগরে দেন। তবে অনন্ত অবশ্য জানিয়ে দেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। এদিকে মমতার সঙ্গে দেখা করার পরে অনন্ত মহারাজ বলেছিলেন, ‘আমার মতি মরে গেছে না কি? আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। আমি তৃণমূল বা মমতা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি।
উনি নিজের ইচ্ছায় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। রাজনৈতিক কোনও আলোচনা হয়নি আমার সঙ্গে।’ সেই সময় কোচবিহার জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় বলেছিলেন, ‘উনি একজন ধর্মীয় নেতা। ওনার সঙ্গে যে কেউ দেখা করতেই পারে। আর বাকিটা রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।’ বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আরেকজন জনপ্রতিনিধি দেখা করতেই পারেন।’ তবে এবার প্রশ্ন আলাদা রাজ্যের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতেই কি শাহের দরবারে গেলেন অনন্ত মহারাজ?অন্যদিকে অনন্ত মহারাজের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে অনন্ত মহারাজের সাক্ষাৎ একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে জল মাপছেন মহারাজ।
Discussion about this post