পাকিস্তান কেন ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না? ভারতের আক্রমণে ছারখার হচ্ছে পাকিস্তান, অথচ তাঁদের একটা আক্রমণও সফল হচ্ছে না! কেন এই হাল পাকিস্তানের? উত্তরটা লুকিয়ে আছে অস্ত্র আমদানিতে। আসলে পাকিস্তান সিংহভাগ অস্ত্র কেনে চিন থেকে। যা সস্তা ও ইউজ এন্ড থ্রো বলে পরিচিত। তাই চিনা এয়ার ডিফেন্স ভেদ করে ভারত অনায়াসে নির্ভুল আক্রমণ করে চলেছে ভারত। কারণ ভারত অস্ত্র কেনে রাশিয়া, ইজরায়েল, ফ্রান্স ও আমেরিকার মতো দেশ থেকে। আবার ভারতও এখন অস্ত্র তৈরিতে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। এখানেই বাজিমাত করছে নয়া দিল্লি। আর ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে ইসলামবাদ।
২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রফতানি করা হাতিয়ারের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানকে সরবরাহ করে চিন। সেই তালিকায় রয়েছে জেএফ-১৭ লড়াকু জেট এবং এইচকিউ-৯পি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো হাতিয়ার। গত ৭ মে থেকে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে ইসলামাবাদের দু’টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। যা চিন থেকে কিনেছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে লাহোরে ড্রোন হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় চিনা এইচকিউ-৯পি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে চিনের অস্ত্র, ড্রোন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যে কতটা ঠুনকো সেটাই প্রমান করে দিল ভারত। পাকিস্তান আর্মির জনসংযোগ বিভাগের ডিজি স্বীকার করেছেন তাঁদের দুটি চিনা জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। জানা যাচ্ছে যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বেজিং। কারণ পাকিস্তান চিনের যুদ্ধবিমানের নাম নেওয়ায় তাঁদের মুখ চুন হল। কিন্তু বিগত দুই দিন ধরে ভারত বারে বারে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করছে ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে ব্যাপক। সেই খবর গোটা বিশ্বেই প্রচার হচ্ছে। এতেও চিনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে দাবি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হল, পাকিস্তান বৃহস্পতিবার রাতে অন্তত চারশো ড্রোন হামলা চালায়। যেগুলি তুরস্ক থেকে কেনা বলেই দাবি ভারতের। উল্লেখ্য, এই তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশের হাতেও আছে। যার কয়েকটি গুলি করে নামিয়েছিল ভারত। এবার পাকিস্তানও একই ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের কাছে ফের মার খেলো। কিন্তু এদিন ভারত সরাসরি তুরস্কের নাম নেওয়ায় চাপে পড়লো ইউরোপিয় দেশটি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভারতের ৩৬ টি জায়গায় হামলার ছক কষে ছিল পাকিস্তান কিন্তু ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। পাল্টা হামলায় সবাই ভারতের তরফে পাকিস্তানের একাধিক শহর ক্ষত বিক্ষত করে দেওয়া হয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের হামলা পাল্টা হামলার পর শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ভ ভারতীয় সেনার তরফে সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, ‘‘পাকিস্তান বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের সেনাছাউনিগুলি নিশানা করে হামলা করার চেষ্টা করেছিল। শুধু তা-ই নয়, নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত গোলাবর্ষণও করেছে পাকিস্তান সেনা। ভারতীয় সেনার দাবি, ভারতের ৩৬ জায়গায় অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ বার ড্রোন হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা সেই হামলা প্রতিহত করেছে। বেশ কয়েকটি ড্রোনকে নামিয়েছে তারা।’’ কেন পাক ড্রোন ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করছিল সেই ব্যাখ্যায় জানানো হয় গোপনে নানা তথ্য সংগ্রহ করার উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। যে ড্রোনগুলি নামানো হয়েছে, সেই ড্রোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষাও করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ড্রোনগুলি তুরস্কের। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তান ইউএভি ড্রোন দিয়ে ভাটিন্ডার সেনাছাউনিতে হামলা করার চেষ্টা করে। তবে সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের চারটি বিমানঘাঁটিতে সশস্ত্র ড্রোন হামলা করে। অর্থাৎ পাকিস্তানের কাছে চীনের ডিফেন্স সিস্টেম এবং তুরস্কের শক্তিশালী ড্রোন থাকা সত্ত্বেও ভারতের ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারল না পাকিস্তান। এই বিষয়টি যেন দুই দেশের সামরিক সক্ষমতার প্রসঙ্গ থেকে আরও একবার উসকে দিচ্ছে।
Discussion about this post