‘আত্মনির্ভর’ ভারতের আত্মঘাতী ড্রোন। এক দেশীয় সংস্থা, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে নাগাস্ত্র-১ নামে অত্যাধুনিক এক মারণাস্ত্র। এটি মূলত একটি ড্রোন, যা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সেনাবাহিনীকে শত্রু মোকাবিলায় ভীষণ কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দ্বিতীয় অধ্যায়ে ডাক দিয়েছিলেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার। সেই ডাকেই সাড়া দিয়ে নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে এক সংস্থা তৈরি করেছে অত্যাধুনিক এক মারণাস্ত্র। বলা ভালো আত্মঘাতী ড্রোন। যার নাম দেওয়া হয়েছে নাগাস্ত্র-১। এবার সেই ড্রোন তুলে দেওয়া হল ভারতীয় সেনার হাতে। ফলে পাক সীমান্তবর্তী এলাকায় এবার আরও ভালো নজরদারী চালাতে পারবে সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে শত্রু মোকাবিলায় আরও কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিগত কয়েক বছরে জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক ভারতে পাঠাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। এরকম কয়েকটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে বিএসএফ। ভারতে জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে মানববিহীন ড্রোন প্রযুক্তির ওপরেই ভরসা করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিও ড্রোনের সাহায্যেই ভারতে সক্রিয় জঙ্গি মডিউলগুলিতে প্রয়োজনীয় অর্থ এবং অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে। এবার তাঁদের অস্ত্রেই ঘায়েল করতে চাইছে ভারতীয় সেনা।
নাগপুর ভিত্তিক প্রতিরক্ষা সংস্থা সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ এবার এমনই এক ড্রোন তৈরি করেছে। যা ভারতীয় সেনা এবং বিএসএফের কাছে মহার্ঘ্য হয়ে উঠতে পারে। নাগাস্ত্র-১ নামে ওই ঘাতক ড্রোনে রয়েছে কামিকাজে মোড। এর সাহায্যে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রু ঘাঁটির দিকে নিখুত নিশানা করা যাবে। মানববিহীন এই ড্রোনের ওজন ৯ কেজি মতো। এটি ১ কেজির বেশি বিস্ফোরক নিয়ে একটানা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। ১৫ কিমি পর্যন্ত মানব নিয়ন্ত্রণে উড়তে পারবে নাগাস্ত্র-১, এরপর সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়বে এই মারণাস্ত্র। আর শত্রু ঘাঁটির সন্ধান পেলেই বিস্ফোরক নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাবে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নাগাস্ত্র-১ ড্রোন।
Discussion about this post