রাজনীতিতে আসন দখলের লড়াই সর্বদা দেখা যায়। তবে সিপিএম এর এতই সংকট যে সিংহাসন আছে তবে রাজার বড়ই অভাব।
সর্বভারতীয় সিপিএম এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর পর তার আসন খালি। অন্যদিকে প্রকাশ কারাটকে সমন্বয়ক এর দায়িত্বভার দিয়েছেন। তাহলে সাধারণ সম্পাদক কে হবে? যেই দল একসময় বিভিন্ন রাজ্যে নেতৃত্ব দিয়েছে বছরের পর বছর। তাদের এখন ৮ এসে পৌঁছেছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়ে সাধারণ সম্পাদক খুঁজে চলেছে সিপিএম।
তবে এরই মাঝে হঠাৎ শোনা গেছে এই দায়িত্ব পালনের জন্য নাম আসছে পশ্চিমবঙ্গ সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের নাম। সূত্রের খবর, সিপিএম পার্টি কংগ্রেস হওয়ার আগে সেলিম কে এই বিষয়ে ভাববার সময় দিতে চায়। তবে অধিবেশন হওয়ার আগে দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রকাশ কারাটকে দায়িত্ব দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। এই কথা কানাখুসো শুনতে পেরে, বাংলার সিপিএম নেতৃত্বদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাদের দুশ্চিন্তা কারণ সেলিম বাবু যদি দিল্লির দায়িত্বে চলে যায় তাহলে রাজ্যের দায়িত্বভার কে নেবে। ২০২২ সালে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পায় মোঃ সেলিম। তারপর থেকেই যুবদের বেশি করে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। এমনকি সিপিএমবিরোধী হেভি ওয়েট নেতাদের বিরুদ্ধে যুব নেতাদের দাঁড় করিয়েছেন ভোট ময়দানে। মোহাম্মদ সেলিম হয়তো আগেই বুঝতে পেরেছিলেন যুব নেতাদের এগিয়ে না আনলে ভবিষ্যতে দলের হাল ধরার নেতৃত্ব অভাব দেখা দেবে। ঠিক যেমনটা সর্বভারতীয় সিপিএমের ক্ষেত্রে হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পলিটব্যুরোর সদস্য না থাকলে কেউ রাজ্য সম্পাদক হতে পারবেনা। যার কারণে শ্রীদীপ রাজ্য সম্পাদক করতে পারেনি। অন্যদিকে সূর্যকান্ত মিশ্র পলিটব্যুরোর থেকে এবার অবসর নেবেন।
এই কারণেই সম্ভাব্যর ওপর ভরসা রেখে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে। যদি সেলিম সীতারাম ইয়েচুরিরের শূন্যস্থান পূরণ করতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তাহলে সূর্যকান্ত মিশ্রর জায়গায় যে পলিটব্যুরোতে স্থান নেবে। সেই সদস্য হয়তো সেলিমের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব নেবে। তবে পুরোটাই সম্ভাব্যের উপর নির্ভর। এখন কি বল কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের (অধিবেশনের) সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। রাজ্য সিপিএমের কাছে এখন একটাই প্রশ্ন বাংলার থেকে দিল্লি গেলে বাংলার কি হবে?
Discussion about this post